• বাড়ি ফেরা হবে তো! উৎকণ্ঠায় ছিলেন বাংলাদেশিদের হাতে অপহৃত কৃষ্ণকান্ত
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, শীতলকুচি: বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ভারতের মাটিতে এসে ‘অপহরণ’ করে নিয়ে গিয়েছিল শীতলকুচির মীরাপাড়ার চাষি কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে। সোমবার দুপুরে ওই ঘটনার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ততই উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের। ভিন দেশে ‘বন্দি’ থেকে প্রবল উৎকণ্ঠায় ছিলেন বৃদ্ধ কৃষ্ণকান্তও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আশেপাশে সব অপরিচিত মুখ। যা নিয়ে প্রতিমুহূর্তে হৃদস্পন্দন বাড়ছিল তাঁর। কিন্তু খবর পেতেই চাষিকে দেশে ফেরাতে পুলিশ ও বিএসএফ তৎপর হয়। বিজিবি’র সঙ্গে বিএসএফের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর মুক্তি পান। রাত ১টা নাগাদ নিজের বাড়ি ফেরেন কৃষ্ণকান্ত। মুখে হাসি তাঁর, স্বস্তি ফেরে পরিবারে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে প্রশাসনও। কৃষ্ণকান্তর স্ত্রী বেহুলা মঙ্গলবার সকালে বলেন, স্বামী অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছেন। এতেই আমার শান্তি। 

    এদিন সকালে কৃষ্ণকান্তকে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। দুপুরে মাথাভাঙা মহকুমা আদালতে যান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় জবানবন্দি দিতে আদালতে যান তিনি। 

    এদিন কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, সোমবার সকালে বিএসএফের অনুমতি নিয়ে ৩৪ নম্বর গেট দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে গিয়ে ধান খেতে কাজ করছিলাম। পাঁচজন বাংলাদেশি আসে। আমার সঙ্গে ওদের বচসা হয়। হঠাৎ আমাকে ওরা তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের বাড়িতে আমাকে রাখে। কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবি এসে আমাকে নিয়ে যায়। বাড়িতে ফিরতে পারব কি না আতঙ্কে ছিলাম। সন্ধ্যায় বিএসএফ ও বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিং করে। পরে আমাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি।  

    উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল শীতলকুচির উকিল বর্মনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশিরা। ২৯ দিন পর বাংলাদেশ থেকে ফিরেছিলেন তিনি।  নিজের বাড়িতে কৃষ্ণকান্ত। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)