বেলডাঙার জমিদার বাড়ি দেখা যাবে ক্ষুদিরামপল্লি স্পোর্টিংয়ে
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্যামল পাল বাগডোগরা
এবার পুজোয় বেলডাঙার জমিদারবাড়ি দেখা যাবে বাগডোগরার ক্ষুদিরামপল্লি স্পোর্টিং ক্লাবে। অন্যদিকে, প্রাচীন ডোকরা শিল্প তুলে ধরা হচ্ছে হাটখোলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে। দুই পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের দাবি, বিগত বছরগুলির মতো এবারও তাদের মণ্ডপে এসে শিল্পীদের নিখুঁত শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা।
বর্তমানে বিলুপ্তির পথে বেশকিছু প্রাচীন শিল্প। আগামী প্রজন্মের কাছে হয়তো অজানাই থেকে যাবে সেসব শিল্পকর্ম। প্রায় চার হাজার বছর পুরনো ডোকরা শিল্পকে দুর্গাপুজো মণ্ডপে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বাগডোগরা হাটখোলা সর্বজনীন। এবার ৭৪ বছরে পড়বে তাদের দুর্গাপুজো। তামা, পিতল ও ব্রোঞ্জের মতো ধাতু দিয়ে ডোকরা শিল্পকে মণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে। বর্ধমান সহ কলকাতার আশপাশের বেশকিছু কারিগর ও শ্রমিক এসেছেন। বাগডোগরার পুরনো ও বিগবাজেটের এই পুজো আগেও একাধিকবার রাজ্য সরকার সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার বিচারকদের মনজয় করে পুরস্কার পেয়েছে। এবারেও তাঁদের তৈরি মণ্ডপসজ্জা দর্শনার্থীদের মন ছুঁয়ে যাবে, আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির পক্ষে তুতুল দেব বলেন, ডোকরা শিল্প সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। প্রাচীন এই শিল্পকে বর্তমান যুবসমাজের কাছে তুলে ধরতে আমরা তাই ডোকরা শিল্পকেই এবার বেছে নিয়েছি। গোটা মণ্ডপে নিপুন সেই শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলা হবে। বিগত বছরগুলির মতো এবারও আমাদের পুজো দর্শনার্থীদের মনে আঁচড় কাটবে।
অপরদিকে, গ্রামবাংলা ও জমিদারবাড়ির পরিবেশ পুজো প্রাঙ্গণে তুলে ধরে মণ্ডপ সাজাচ্ছে বাগডোগরার ক্ষুদিরামপল্লি স্পোর্টিং ক্লাব। এ বছরের থিম বেলডাঙার জমিদার বাড়ি। ৫৩তম বর্ষে এবার এই পুজো। জমিদারবাড়িতে কীভাবে দুর্গাপুজো হতো সেসব চিত্র এই মণ্ডপে এলে চাক্ষুষ করা যাবে। পুজো মণ্ডপে গ্রামবাংলার পুজোর গন্ধ তুলে ধরতে এই চিন্তাভাবনা বলে পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক স্বাগত ঘোষ জানান, নতুনের সঙ্গে পুরনো সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই পরিকল্পনা। এছাড়া আলোকসজ্জা ও প্রতিমাতেও বিশেষ চমক রাখা হচ্ছে। পুজোর চারদিন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। একইসঙ্গে চলবে সমাজসেবামূলক কিছু কর্মসূচি।
হাটখোলা সর্বজনীনের মণ্ডপের কাজ চলছে। - নিজস্ব চিত্র।