নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: মনীষী পঞ্চানন বর্মার মূর্তি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে উধাওয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনীষীর তিরোধান দিবসের দিনই ফাঁসিরঘাটে মূর্তি পুনঃস্থাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু মূর্তি বসানোই নয়, স্থানীয়দের নিয়ে পঞ্চানন স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় একটি সমবায়কে ওই জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গায়েব হয়ে যাওয়া মূর্তি উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি উঠেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সহ অন্যান্য নেতা।
এদিকে, এদিন জেলাজুড়ে মনীষী পঞ্চানন বর্মার তিরোধান দিবস পালিত হয়। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করা হয়। অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনীষী পঞ্চানন বর্মার মূর্তি ওই জায়গায় বসানো হল। ওখানে পঞ্চানন বর্মা স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। শীতলকুচি ব্লকের এক শিল্পীর কাছ থেকে মূর্তি আনা হয়েছে। আমরা চাই আগের মূর্তি উদ্ধার করা হোক। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। না হলে আবারও এই ধরনের কাজ করার দুঃসাহস দেখাতে পারে। গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ফাঁসিরঘাটে মনীষী পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বসানো হয়েছে। পুলিশ আগের মূর্তি উদ্ধার করুক ও দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।
উল্লেখ্য, গত শনিবার কোচবিহার-১ ব্লকের শুকটাবাড়ি ও ঘুঘুমারি অঞ্চলের সীমানায় ফাঁসিরঘাট এলাকার মানুষ দেখতে পায় মনীষী পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তিটি নেই। গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে মনীষী পঞ্চানন বর্মার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙার খলিসামারিতে তাঁর জন্মভিটা আজও রয়েছে। তার আগে এভাবে মূর্তি উধাও হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। এরপরেই এদিন মনীষীর তিরোধান দিবসে বসানো হল নতুন মূর্তি।
অন্যদিকে, দেওয়ানগঞ্জ স্মৃতিভবন ও পাঠাগারের পক্ষ থেকে হলদিবাড়িতে সংস্থার মাঠে মনীষীর তিরোধান দিবস পালন করা হয়। বক্সিগঞ্জ পঞ্চায়েতের আঙুলদেখা বাজারে পঞ্চানন যুগ ধর্ম সমিতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। নিজস্ব চিত্র।