পুজোয় হেলমেটহীন বাইক চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান, আইন ভঙ্গকারীদের ছাড় দেবে না পুলিশ
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সচেতনতা প্রচার বা জরিমানা, কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ফের দুর্ঘটনায় বাইক চালক ও আরোহীর মৃত্যু হল। সামনে উৎসবের মরশুম। এই সময় টিনএজারদের মধ্যে চুলের স্টাইল দেখানোর জন্য হেলমেট না পরার প্রবণতা বাড়ে। তাতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ে। উৎসবের মরশুমে পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও কড়া নজরদারির পথে হাঁটতে চাইছে ট্রাফিক পুলিস। জেলার ডিএসপি(ট্রাফিক) কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, হেলমেটহীন বাইক চালকদের সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে। পুজোর সময় তা আরও কড়াকড়ি করা হবে। গতবছর পুজোর সময় কড়াকড়ি থাকায় দুর্ঘটনা কম হয়েছিল। এবছরও তেমনই ব্যবস্থা থাকবে।
কারও মাথায় হেলমেট নেই, কারও হেলমেট আছে কিন্তু তা বাইকের পিছনে বাঁধা। জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়ক, অহরহ এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। পথ দুর্ঘটনায় রাশ টানতে হেলমেটহীন বাইক চালক ও আরোহীদের বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযানে নেমেছে পুলিস। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচিতে বাইক চালকদের হেলমেট বিলি থেকে সচেতন করা হচ্ছে। হেলমেটহীন বাইক চালকদের জরিমানাও করা হচ্ছে। তারই মাঝে ঘটছে দুর্ঘটনাও। ঘটছে প্রাণহানি। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বোলপুর-রাজগ্রাম রাজ্য সড়কে মুরারইয়ের গুসকিরা গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি গাছে ধাক্কা মারে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাহুল মাল নামে এক যুবকের। পরে অভিজিৎ মাল(২৭) নামে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়। দু’জনেরই বাড়ি মুরারইয়ের কেসতারা গ্রামে। দু’জনেই রাজমিস্ত্রির শ্রমিকের কাজ করতেন। অভিজিতের স্ত্রী ছাড়াও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। পুজোর ঠিক আগে এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছিল। হেলমেট পরার আর্জি জানিয়ে মাঝে-মধ্যেই রাস্তায় অভিযানে নামছেন জেলার পুলিসকর্তারা। কিন্তু, তাতে যে হুঁশ ফিরছে না তা বারবার এমন ঘটনা থেকেই পরিষ্কার বলে পথচারীদের অভিযোগ। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, হেলমেট পরার জন্য বাইক আরোহীদের নানাভাবে বোঝানো হচ্ছে। তারপরও অনেকে হেলমেট পরছেন না। কুণালবাবু বলেন, হেলমেটহীন বাইক চালকদের হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। অনেকে জরিমানা দিচ্ছেন। আবার অনেকে না দিয়ে লোক আদালতে যাচ্ছেন। সেখানে ২০০টাকা মিটিয়ে আসছেন। এরকম চলতে থাকলে যতই সচেতনতা বা জরিমানা করি সুরাহা হবে না। লোক আদালতে গেলেও জরিমানার অর্থ যাতে না কমে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মোটা অঙ্কের জরিমানার ভয়ে হেলমেট পরার প্রবণতা বাড়বে। -নিজস্ব চিত্র