• নন্দীগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মারপিটে উত্তেজনা
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: নন্দীগ্রাম থানার মহম্মদপুর পাকারপুল এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে মারপিটে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ দু’দলের কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। সেইসময় তপন মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মীর সবজির দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। রাস্তায় সবজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে মহম্মদপুর পাকারপুল এলাকায় মিছিল করে বিজেপি। সন্ধ্যায় বিজেপির পাল্টা প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূলও। ওই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে।

    জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখানোয় তৃণমূল কর্মী গৌতম দাসকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির লোকজন। বিজেপি কর্মী প্রশান্ত বেরা ও খোকন মাইতির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়। সেই কেসের সাক্ষী তৃণমূল কর্মী কালোবরণ জানা। সোমবার রাতে একই এলাকায় তাঁর উপর হামলা চালায় প্রশান্ত ও খোকন। তাতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা জোট বেঁধে প্রতিরোধ গড়লে প্রশান্ত ও খোকন পালিয়ে যায়। সেইসময় খোকন মাইতির বাবা তপন মাইতির সবজির দোকানে হামলা চলে। ভাঙচুরের পাশাপাশি জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। 

    বিজেপির নন্দীগ্রাম-১ মণ্ডল কমিটির সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়া বলেন, সোমবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নিরীহ ব্যবসায়ী তপন মাইতির দোকানে হামলা চালায়। কাঁচা সবজি লুট করে। তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। ওই বাজার আরও দোকানদারদের উপর চড়াও হয়। শাসকদলের লোকজন ওই বাজারে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করে। দোকানপাট বন্ধ রাখার ফতোয়া দেয়। এলাকায় তৃণমূলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে প্রমাণ করতে এসব করেছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের গাজোয়ারি, তোলাবাজি চলবে না। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, মহম্মদপুর ও ভেকুটিয়া অঞ্চলের সংযোগস্থল মহম্মদপুর পাকারপুল এলাকা। ২০২৩সাল থেকে এই এলাকাটিতে বিজেপির সন্ত্রাসের মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে। ওই এলাকায় আমাদর দলের রাখোহরি ঘড়া, গৌতম দাস, রাজু ত্রিপাঠী, নন্দদুলাল মাইতি এরআগে হামলার শিকার হয়েছেন। সোমবার কালোবরণ জানার উপর হামলা হয়। ওই হামলার ঘটনার পর এলাকার মানুষজন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)