সংবাদদাতা, বহরমপুর: মশারির বাইরে থেকে ঘুমন্ত বালকের পা কামড়ে ধরেছিল সাপ। ছেলের চিৎকার শুনে মা উঠে দেখেন, সাপটি তখনও পা কামড়ে ধরে আছে। কয়েকবার লাঠির আঘাত খেয়ে তবেই পা ছাড়ে সাপটি। ওই বালককে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হল না। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ খড়গ্রাম থানার গঙ্গারামপুরে এঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনন্ত হাজরা(১০) নামে ওই বালকের মৃত্যু হয়। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
অনন্তর বাবা অসিত হাজরা কেরালায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। সোমবার রাতে অনন্তর মা মৌসুমী হাজরা দুই ছেলেকে নিয়ে মাটির বাড়ির মেঝেতেই মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ ছোট ছেলের আর্ত চিৎকার শুনে ঘরের আলো জ্বালিয়ে তিনি দেখেন, তিনফুট দৈর্ঘ্যের একটি সাদা কালো সাপ মশারি সহ ছেলের পা কামড়ে ধরে আছে। মৌসুমীদেবী বড় ছেলেকে উঠিয়ে লাঠির আঘাতে সাপটিকে ঘায়েল করেন। এরপর পড়শিদের ডেকে সাপ সহ ছেলেকে স্থানীয় ইন্দ্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে অনন্তকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে অনন্তর মৃত্যু হয়।
মৌসুমিদেবী জানালেন, বাড়ির আশপাশ বেশ কয়েকদিন ধরে জলে ডুবে ছিল। তখন থেকেই সাপের উৎপাত দেখা দিয়েছে। ভয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে মশারি টাঙিয়েই শুতেন। তিনি বলেন, ছেলের পায়ে সাপ কামড়ে ধরে রয়েছে দেখেই আমি ঘাবড়ে যাই। বড় ছেলেকে ডেকে লাঠি আনাই। বেশ কয়েক ঘা মারার পরই সাপটি ছেলের পা ছাড়ে। কিন্তু মেডিক্যালে নিয়ে গেলেও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে কেরালা থেকে ফিরছেন অসিতবাবু।