• বিজেপি পরিচালিত বড়রা পঞ্চায়েতে বেহাল রাস্তা, খাটিয়া করে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র বিতর্ক
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: রাস্তাজুড়ে এক হাঁটু কাদা। গ্রামে ঢোকে না কোনও গাড়ি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের খাটিয়া করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। রঘুনাথপুর-২ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামুয়াডি গ্রামের বাসিন্দারা এনিয়ে ক্ষুব্ধ। গ্রামের এক রোগীকে খাটিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আদিবাসী বলেই কি এতদিন ধরে বঞ্চনা? গ্রামে কবে পাকা রাস্তা হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা।

    পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত বলেন, একটি ভিডিও সামনে এসেছে। বিষয়টি কী আছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ব্লক ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলছি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের পশ্চিম প্রান্তে জামুয়াডি গ্রাম অবস্থিত। গ্রামে ঢোকার জন্য একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তা বেহাল। এলাকার মানুষ পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এবছর অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা জানান, গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া, পঞ্চায়েত, ব্লক, হাসপাতাল যাওয়া সহ সমস্ত কাজে রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। মূল রাস্তা থেকে গ্রাম ঢোকার প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা চরম বেহাল। অথচ সেই রাস্তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। গ্রামবাসীরা  বলেন, সোমবার গ্রামের প্রৌঢ় সীতারাম বেসরার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু, কোনও গাড়ি গ্রামে আসতে চায়নি। তাই গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে খাটিয়ায় করে তাঁকে গ্রাম থেকে মূল রাস্তায় নিয়ে যান। সেখান থেকে গাড়ি করে তাঁকে চেলিয়ামা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে সময় মতো না পৌঁছলে হয়তো বিপদ হতে পারত।

    গ্রামবাসী পরমেশ্বর বেসরা, শুকুরমনি বেসরা বলেন, গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটির সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাস্তা দিয়ে গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা যেতে ভয় পায়। মহিলারা জল আনতে যেতে পারে না। কোনও গাড়ি গ্রামে ঢোকে না। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক, জেলা প্রশাসনকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে আমরা রয়েছি। 

    স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মহারানি হেমব্রম বলেন, রাস্তার বিষয়টি পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। যেহেতু তৃণমূল এখান থেকে জিতেছে, তাই পঞ্চায়েত কোনও কাজ করেনি। আমরা বিষয়টি ব্লক ও জেলায় জানিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)