• এসআইআরে মান্যতা দিতে হবে ভোটার কার্ডকে: মমতা
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজকের সচিত্র ভোটার কার্ড অনেকাংশে তাঁরই আন্দোলনের ফসল বললে অত্যুক্তি হয় না। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এবার দাবি তুললেন, আধারের মতো ভোটার কার্ডকেও এসআইআরে মান্যতা দিতে হবে। অর্থাৎ, ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রামাণ্য নথি হিসেবে ধরতে হবে এই পরিচয়পত্রকেও। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, বিহারে চলতি এসআইআর প্রক্রিয়ায় আধারকে ১২তম নথি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে ভোটার কার্ড কেন নয়, মঙ্গলবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভোটার কার্ড অবশ্যই একটি পরিচয়পত্র। তাই আমি মনে করি, এটিও এসআইআরে অন্তর্ভুক্ত হোক।’ 

    রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের মন্তব্য ছিল, ‘আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় ঠিকই, তবে এটি অবশ্যই সরকার স্বীকৃত পরিচয়পত্র।’ সেই সূত্র ধরেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘আধার কার্ড অধিকাংশেরই আছে। যাঁদের নেই, তাঁরা করে নেবেন।’ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতার এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তিসঙ্গতও। কারণ, দেশে যাঁরা বসবাস করেন, শুধুমাত্র তাঁরাই নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া ভোটার কার্ড নিয়ে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। তাহলে সেটি প্রামাণ্য নথি হিসেবে গ্রহণ করতে কেন অসুবিধা থাকবে কমিশনের? 

    এসআইআর নিয়ে সবার একটাই প্রশ্ন, বিহারের পর কি বাংলা? তৃণমূলনেত্রী অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ পড়লে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই আন্দোলন হবে। সেই সুর বজায় রেখে এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা এসআইআরের বিরুদ্ধে। তিনজন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এসআইআর করতে তিন-চার বছর সময় লাগে। এটা কখনও ২-৩ মাসে হয় না।’ তাই ভোটের আগে হঠাৎ করে এসআইআর করার পিছনে বিজেপির ‘গোপন অ্যাজেন্ডা’ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল সহ ‘ইন্ডিয়া’। এসআইআরের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে দেশজুড়ে। এই আবহে মমতার দাবি যাবতীয় বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 
  • Link to this news (বর্তমান)