নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ম্যানহোল! রাস্তার উপর সেগুলির হদিশ মিলছে না। তাই ম্যানহোল খুঁজে বের করে তা কাজের উপযুক্ত করা কিংবা প্রয়োজনে নয়া ম্যানহোল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। যাতে পাতিপুকুরে আন্ডারপাস থেকে লেকটাউনের বাগজোলা খাল পর্যন্ত প্রায় ১.৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা সাফ করা যায়। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে এর জন্য প্রায় এক কোটি টাকার প্রস্তাব জমা করেছে কলকাতা পুরসভা। টাকা পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সম্প্রতি অবাক ছবি সামনে আসে পাতিপুকুর আন্ডারপাসের। সারা কলকাতা জলে ভাসলেও জল জমেনি পাতিপুকুরে। সেখানে গত মে মাসেও আস্ত একটি বাসের অর্ধেক ডুবে গিয়েছিল জলে। কলকাতা পুরসভা আন্ডারপাসের নিকাশি নালা সাফ করেছে। তার ফলে জল জমেনি বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ওখান থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ টন পলি তোলা হয়েছে। কিন্তু ওই ভূগর্ভস্ত নিকাশি নালার শুধুমাত্র পাতিপুকুর আন্ডারপাসের তলায় থাকা ৪০০ মিটার দীর্ঘ অংশেই পলি তোলা গিয়েছিল। পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক কর্তা বলেন, পাতিপুকুর আন্ডারপাস থেকে ওই নিকাশি পাইপলাইন সোজা লেকটাউনে বাগজোলা খালে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তার উপরে খাল পর্যন্ত কোথাও কোনও ম্যানহোলের দেখা মিলছে না। ফলে ডিসিল্টিং বা পলি তোলার কাজও করা যাচ্ছে না। তাই ম্যানহোল খুঁজে বার করে সেগুলির মুখ রাস্তার সমান্তরালে আনতে হবে। আর না থাকলে নালার নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ম্যানহোলও বানাতে হবে। সবমিলিয়ে মোট তিরিশটির মতো ম্যানহোল বানানোর প্রস্তাব আছে।
গত মে মাসে সামান্য বৃষ্টিতেই পাতিপুকুর আন্ডারপাসে জল জমে গিয়েছিল। তারপর বিস্তর বিতর্ক হয়। এই ঘটনার পর এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগকে দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং একাধিকবার এই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে কাজের তদারকি করেন। সংলগ্ন এলাকায় থাকা কেএমডিএ’র পাম্পিং স্টেশনটি কার্যকর ছিল না। সেখানে দু’টি নতুন পাম্পও (২০ ও ৪০ হর্স পাওয়ার) বসানো হয়। জানা যায়, ওখানে ম্যানহোলের ভিতর একের পর এক বস্তা দিয়ে ভরাট করা ছিল। ফলে জল বেরতে পারত না। সেগুলি সরানো হয়। বিপুল পরিমাণ পলিও তোলা হয়। যার ফলেই পাল্টে যাওয়া ছবি পাতিপুকুর আন্ডারপাসে। এবার নতুন ম্যানহোল বানিয়ে নালার বাকি অংশ থেকেও পলি তুলতে পারলে জল জমার সমস্যা মিটবে বলে আশা পুরকর্তাদের। - নিজস্ব চিত্র