জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ, পৃথক মামলায় একই দিনে স্পট ইনস্পেকশনের নির্দেশ
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণের দুটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একই দিনে দুটি স্পট ইনস্পেকশনের নির্দেশ দিল। স্পট ইনস্পেকশন করতে হবে অবিলম্বে। পৃথক মামলা দুটি হয় কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত গার্ডেনরিচ এবং মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে। ওই দুই পৃথক মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাচক্রে এই দুটি মামলাতেই পূর্ব কলকাতা জলাভূমির অন্তর্গত এলাকা ভরাট করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
মামলাকারী আসগর আলি মোল্লার অভিযোগ, কলকাতার নাদিয়াল থানার অন্তর্গত গার্ডেনরিচে ২৮৮, ২৮৯ দাগ নম্বরের জমিতে পুকুর ভরাট করে একটি চারতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভা থেকে শুরু করে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি কর্তৃপক্ষেকে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এমনই অভিযোগ করেন মামলাকারীর আইনজীবী। অভিযোগের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কর্তৃপক্ষ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপরই কলকাতা পুরসভা, ভুমিসংস্কার দপ্তর এবং পূর্ব কলকাতা জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে স্পট ইনস্পেকশের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ২৪ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, মামলাকারী ফারুকউদ্দিন আলি আহমেদের অভিযোগ ছিল, মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচুর মৌজার অন্তর্গত কানখুলি হেপাপাড়ায় জলাভূমি ভরাট করে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরসভা কাজ বন্ধের নোটিশ দিলেও কোনও সুরাহা হয়নি। কোনও লাভ হয়নি পূর্ব কলকাতা জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও। এই মামলাতেও ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবং পুরসভাকে যৌথভাবে স্পট ইনস্পেকশনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর। ওইদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।