ধর্মতলায় কলকাতা পুরভবনের চারপাশে হকারদের দখলদারি সরাতে যৌথ অভিযান
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন ধর্মতলায় কলকাতা পুরসভার সামনের রাস্তা, ফুটপাত হকারমুক্ত হয়নি—ক’দিন আগে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে পুরসভা সেই নির্দেশ কার্যকর করতে তৎপর হল। মঙ্গলবার ওই চত্বরে অভিযান চালায় টাউন ভেন্ডিং কমিটি (টিভিসি), পুরসভা ও পুলিসের যৌথ দল। পুরভবনের চারদিকের রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সোমবার পুরসভা একটি নোটিশ দেয় হকারদের। তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয় ওই নোটিশে। তারপর মঙ্গলবার সকালেই চলে অভিযান। তবে কোনও উচ্ছেদ বা জোরজবরদস্তির প্রয়োজনই হয়নি। যৌথ টিম রাস্তায় নামতেই হকাররা রাস্তা খালি করে দেন।
অভিযোগ ছিল, নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরপ্রশাসন হকার উচ্ছেদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করছে না। তাই এ বিষয়ে পুরসভার হলফনামা তলব করে আদালত। দু’বছর আগের নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পুর কমিশনারকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। যদিও পুরসভার তরফে জানানো হয়, অনেক ক্ষেত্রে উচ্ছেদের পর ফের হকারেরা আগের জায়গায় এসে বসে পড়ছেন। এই অবস্থায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই নির্দেশমতো হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেবে পুরসভা। প্রসঙ্গত, বিচারক্ষেত্র পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে মামলাটির শুনানি হচ্ছে বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে শুনানিতে অভিযোগ ওঠে, আদালতের নির্দেশ পালন করার ক্ষেত্রে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে পুরসভার। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্দেশে আদালত জানিয়েছিল, আগের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুর প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা হলফনামা আকারে জানাতে হবে। এখন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে পুরসভা, তাও উল্লেখ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কত দিনের মধ্যে আগের নির্দেশ কার্যকর করবে পুরসভা, তাও হলফনামায় জানাতে বলা হয়। এর পাশাপাশি ‘হকিং জোন’ অর্থাৎ শহরের কোন কোন এলাকায় হকাররা বসতে পারবেন, তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে, তাও হলফনামায় জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রেক্ষাপটেই এদিনের পুর-অভিযান। নিজস্ব চিত্র