• স্কলারশিপ না মেলায় অনশনে ‘কমরেড বিক্রমে’, হস্তক্ষেপ এপিডিআরের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মাওবাদী আন্দোলনের একসময়কার পরিচিত মুখ অর্ণব দাম ওরফে ‘কমরেড বিক্রমে’। বর্তমানে তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইতিহাস বিষয়ে গবেষণারত। সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাঁর গবেষণা জীবনে এসেছে বড় ধাক্কা। এখনও পর্যন্ত পাননি নির্ধারিত স্কলারশিপ। সেই ক্ষোভে গত শুক্রবার থেকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অনশন শুরু করেছেন তিনি।

    অর্ণবের দাবি, গবেষণার জন্য বইপত্র, নোটবই, খাতা-কলম কেনার ন্যূনতম অর্থও তাঁর হাতে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিকবার আবেদন জানালেও স্কলারশিপের টাকা মেলেনি। এর প্রতিবাদেই সংশোধনাগারে বসেই অনশন চালাচ্ছেন তিনি।

    পরিস্থিতি জানার পর মঙ্গলবার এপিডিআরের ছয় সদস্যের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা অর্ণবের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে ভিসিকে অবহিত করেন। ভিসি জানিয়েছেন, ‘অর্ণবের আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফি মকুব-সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’

    এদিনই এপিডিআরের সদস্যরা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অর্ণবের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু তাঁদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ সদস্যরা জেলের গেটের সামনেই বসে পড়েন। পরে কর্তৃপক্ষ ফোনে অর্ণবের সঙ্গে তাঁদের কথা বলিয়ে দেয়। এপিডিআরের সদস্যরা তাঁকে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। অর্ণব জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি ভেবে দেখবেন।

    প্রসঙ্গত, অর্ণবের গবেষণার গাইড ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর নাসরিন। তিনি বলেন, ‘রিসার্চ স্কলারদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমবার অনুমোদন না পেলেও পরবর্তীতে আবেদন জানিয়ে সুযোগ পাওয়া যায়।’

    অর্ণবের ইচ্ছে ছিল যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করার। কিন্তু সুযোগ মেলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি সেখানেই গবেষণার কাজে নিযুক্ত। তবে স্কলারশিপ না মেলায় তাঁর গবেষণার কাজ থমকে গিয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)