অরূপ লাহা: সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মারলে হাজার সিদ্দিকুল্লা এই কুলুটে তৈরি হয়ে যাবে। ঠ্যাং ধরে ভেঙে দেবে বলে দলের অপর পক্ষকে অর্থাৎ পূর্ববর্ধমানের মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখকে। এবার মন্তেশ্বরের কুলুটে দাঁড়িয়ে সোমবার রাতে হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। দল বড়, নেতা নয় বলে মন্ত্রী ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়ে বলেন, 'দলের সঙ্গে জুলুমবাজি করলে জনগন উপড়ে ফেলে দেবে। সিপিএমকে ফেলতে পারে। এক খণ্ড নেতাকে ফেলতে সময় লাগবেনা।' শুধু তাই নয়, তার ডাকে এক লক্ষ লোক এসে যাবে বলে এদিন হুমকিও দেন।
মন্ত্রী বলেন, 'এখন যদি কল দিই এক লক্ষ লোক এসে যাবে। কিন্তু আমরা বুঝেছি আমি অপমানিত হয়েছি ঠিক আছে। আমরা ধৈর্য্য ধরেছি বলে সব জায়গায় লালকালির দাগ লেগে গেছে।' নিজেকে সংযত না করলে নিজের ক্ষতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মন্ত্রীর পরামর্শের প্রয়োজন হবে না। দলই তাদের হাত পা ভেঙে দিয়ে চলে যাবে।
দুমাস আগে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কোথাও গণ্ডগোল হয়না, যত মস্তানি হুকুম হয় মন্তেশ্বরে। মন্ত্রীর প্রশ্ন, 'কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন, সেখানে তো গোলমাল হয়না। কাটোয়া রবি চট্টোপাধ্যায় আছে, সেখানে তো গোলমাল হয়না। স্বপন দেবনাথ আছে। কালনাতে এমএলএ আছে সেইখানে তো গোলমাল হয়না। মস্তানি হচ্ছে? বর্ধমানে হয়না, খণ্ডঘোষে হয়না, কলকাতায় হয়না, শ্যামবাজারে হয়না। কিসের দুধ খেয়েছেন আপনারা? এত রাগ কিসের?'
মন্ত্রী নিজের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে সামনে রেখে বলেন, 'এই যে শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিত হলে বোমা বাঁধতে হবেনা। শিক্ষিত হলে রিভলবার চালাতে হবেনা। শিক্ষিত হলে গাড়ি ভাঙচুর করতে হবে না। টিপ ছাপ ছেলেরা তাদের কাছে আছে। তারা অঙ্ক কষতে জানেনা। টাকা গুনতে জানে।' কোনও নেতা চমকালে ধমকালে ফোন করে জানানোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরও বলেন, 'আপনারা আমাদের টেলিফোন নম্বর পাবেন। টেলিফোন করবেন কোন নেতা আপনার বাড়িতে ধমক দিয়েছে। দেখতে চাই সে কত বড় লাটসাহেবের নেতা। বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিকে চোখ দেখাচ্ছে। লজ্জা লাগেনা তাদের? ভয় দেখাচ্ছে? এত বড় স্পর্ধা। আমি সেদিন চাইলে পারতাম। কিন্তু আমি করিনি।'