অয়ন ঘোষাল: মেট্রোয় এখন জল-নির্ভর ব্যবস্থায় সুড়ঙ্গের বাতাস ঠান্ডা করা হয়। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে বসানো রয়েছে সেই বিশেষ যন্ত্র। বিপুল পরিমাণে জল ব্যবহার করে সুড়ঙ্গের ভিতরের বাতাস ঠান্ডা করা হয়। পুরো সুড়ঙ্গ ঠান্ডা রাখতে ৪৬টি যন্ত্র বা কুলার ব্যবহার করা হয়। ওইসব যন্ত্রগুলির মধ্যে ৩০টি যন্ত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার মুখে। অথচ নতুন করে এই ব্যবস্থা বসানোর জন্য প্রচুর সময় প্রয়োজন। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
পুরনো পদ্ধতি বদলে, নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভেতরের বাতাস শীতল রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে মেট্রো। ৪১ বছরের পুরনো ওই ব্যবস্থা বদল করে তার জায়গায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। মেট্রো সূত্রের খবর, ব্লু লাইনের ভূ-গর্ভস্থ ১৫টি স্টেশনের মধ্যে ৮টি স্টেশনের কুলিং সিস্টেমের অবস্থা সবথেকে খারাপ।
রবীন্দ্র সরোবর, কালীঘাট, চাঁদনি চক স্টেশনে ওই যন্ত্রের মেয়াদ ১ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। পাশাপাশি নেতাজি ভবন, যতীন দাস পার্ক, ময়দান, মহাত্মা গান্ধী রোডেও পুরনো যন্ত্র বদল করে নতুন যন্ত্র অর্থাৎ এয়ার কুলড চিলার বসাতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।
কলকাতা মেট্রো থেকে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৎপরতার অভাবে চিন্তায় কলকাতা মেট্রো আধিকারিকরা। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাগজপত্র তৈরি নেই বলে দাবি আধিকারিকদের। টেন্ডার দেওয়ার কাজে গতি আসেনি। তাই এবার বড় প্রশ্ন, মেট্রো সুড়ঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে যোগান কি বন্ধ হয়ে যাবে?