মধ্যরাতে মিনি সচিবালয়ে নিজের কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী, নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক মমতার
আনন্দবাজার | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাত তখন প্রায় ১২টা। উত্তরকন্যা মিনি সচিবালয়ের গেস্ট রুম ‘কন্যাশ্রী’ থেকে আচমকা বেরিয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সোজা চলে যান মিনি সচিবালয়ে নিজের কক্ষে। মোবাইলে এবং ল্যান্ডলাইনে একের পর এক ফোন। বেশির ভাগ কথোপকথনের বিষয় নেপাল এবং রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত। মঙ্গলবার তিন দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রায় সারা রাত জাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই মমতার নির্দেশে এসএসবি আধিকারিকদের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট যোগেশকুমার সিংহের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তরবঙ্গে আইজি রাজেশকুমার যাদব, দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি এখানেই থামেনি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে অনেকের সঙ্গে নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ রেঞ্জের পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা থেকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ডেকে আলোচনা করেছেন। নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি থেকে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কোনও বার্তা এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় নিজের চেম্বারে রাত ১২টা নাগাদ চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে ছিলেন তিনি। রাতেই পুলিশ এবং প্রশাসনের কয়েক জনকে চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা হয়।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, বাংলার ‘চিকেন নেক’ নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়া, দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত রয়েছে। সে জন্য এসএসবি এবং পুলিশকে বাড়তি নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী।
বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়িতে সরকারি সহায়তা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ-নেপাল সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধেই পাহাড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ১১টা ৪৫ মিনিটের বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে রওনা দেবেন পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে।