• আইন-পড়ুয়ার আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শূন্যে গুলি, ধৃত ৩
    আনন্দবাজার | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মধ্যরাতে পুলিশ কমিশনারের দফতরের কাছে চলল গুলি। পুলিশ ধাওয়া করে ধরল তিন জনকে। ধৃতদের কাছ থেকে মিলল একটি সেভেন এমএম পিস্তল। ব্যারাকপুরের বিটি রোডে যেখানে রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে, তার এক দিকে বি এন বসু মহকুমা হাসপাতাল, অন্য দিকে লাটবাগানের পুলিশ ট্রেনিং কলেজের প্রবেশপথ। অনতিদূরে পুলিশ কমিশনারেটের সদর কার্যালয়।

    পুলিশ জানায়, ধৃত আরমান আনসারি, শাহবাজ আনসারি ও বিশ্বজিৎ তিওয়ারি খড়দহের বাসিন্দা। আরমান আইনের ছাত্র। একটি খালি কার্তুজ ও দু’রাউন্ড গুলি-সহ পিস্তলটি তার কাছেই পাওয়া গিয়েছে। নেশার ঘোরে আরমানই শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালায় বলে দাবি তার সঙ্গীদের।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ব্যারাকপুরের একটি পানশালায় বন্ধুর জন্মদিন পালন করে খড়দহের বাড়িতে ফিরছিল। পরে পুলিশ জানতে পারে, মাঝরাতে নেশা করে প্রমোদভ্রমণে বেরিয়েছিল তিন জন। কালো গাড়িটি যাচ্ছিল ব্যারাকপুরের দিকে। হাসপাতালের সামনে গুলি চালানোর পরে লাটবাগানের গেট ও হাসপাতালের সামনে থাকা পুলিশের নজরে পড়েছে বুঝে, তিন জন গাড়ি ঘুরিয়ে খড়দহের দিকে পালাতে যায়। গাড়ি চালাচ্ছিল বিশ্বজিৎ।

    ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘হাসপাতালের কাছে গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাড়া করলে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। টাটা গেটের কাছে গাড়ি আটকে তিন জনকে অস্ত্র-সহ ধরা হয়।’’ সোমবার তাদের ব্যারাকপুর আদালত আট দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায়।

    আইনের পড়ুয়া হয়ে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেল আরমান, কেনই বা সে সেটি সঙ্গে নিয়ে ঘুরত, প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীদেরই একাংশ। ব্যারাকপুর আদালতের আইনজীবী বীরেন ভকত বলেন, ‘‘কোথা থেকে অবাধে অস্ত্র আসছে এবং এক জন আইনের ছাত্র আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আদালত নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবে।’’

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)