নেশার আসরে কয়েক জন যুবকের মধ্যে গোলমালের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন। অনেকের দাবি, ঘটনার সময়ে গোলমালকারীদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। রবিবার রাতে ওই ঘটনার পরেই সোমবার সকালে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয় নেশার আসর যেখানে বসেছিল, সেই বাড়ির বাগান থেকে। মধ্যমগ্রামের হুমাইপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৫)। এই ঘটনার পরে বাড়ির মালকিন ও তাঁর ছেলে-সহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। বাড়িটি এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীর। তাঁর ছেলে বাড়িতে নিয়মিত মদের আড্ডা বসানোয় স্থানীয়েরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, মৃতের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময়ে তাঁর নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, মদের আসরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়েই বুদ্ধদেবকে খুন হতে হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ওই যুবকের মাথার আঘাত ভারী কিছু দিয়ে মারার জেরে, না কি পড়ে যাওয়ায়, তা জানতে ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে কিনা, তা রিপোর্ট এলেই ঠিক করা হবে বলে তদন্তকারীরা জানান। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জ়োনাল) অতীশ বিশ্বাস জানান, নেশার আসরে কিছু হয়েছিল কিনা, তা দেখা হচ্ছে। মৃতের মাথার পিছনে আঘাত ছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হুমাইপুরে নিজেদের বাড়িতে প্রাক্তন ওই পুলিশকর্মীর ছেলে মদের আসর বসাতেন। সেখানে তাঁর বন্ধুরাও যোগ দিতেন। বুদ্ধদেবও তাঁদেরই এক জন। তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। মদের আসরে এসে অতিরিক্ত মদ্যপানের পরে অনেক সময়ে রাতে তিনি বাড়িও ফিরতেন না বলে জেনেছে পুলিশ। ওই বাড়ির বাগান থেকে বুদ্ধদেবের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাক্তন পুলিশকর্মীর বাড়িতে মদের আসর বসা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, বাড়িতে মদের আসর বন্ধ করতে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, মদের আসরে প্রথমে ঝগড়া শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বুদ্ধদেবের পরিবারের অভিযোগ, ওই মদের আসরের গোলমালকে কেন্দ্র করে বুদ্ধদেব খুন হয়েছেন। তাঁর গলা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, বুদ্ধদেবের মৃত্যুর ঘটনায় বন্ধুদের যোগ রয়েছে।