মেরামতির পরে হাওড়ায় উঁচু হয়েছে রাস্তা, জল জমে ভোগান্তি এলাকায়
আনন্দবাজার | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুজোর আগেই হাওড়া শহরের ভাঙাচোরা মূল ন’টি রাস্তা মেরামত করতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করছে কেএমডিএ। এর মধ্যে শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পঞ্চাননতলা রোড কংক্রিট করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি অতিরিক্তউঁচু করায় এক পশলা বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল জমছে আশপাশেররাস্তা ও অলিগলিতে। ফলে সমস্যায় পড়েছে ওই রাস্তার পাশে থাকা অন্তত চারটি বড় পুজো। এলাকারবাসিন্দা ও পুজো কমিটিগুলির থেকে অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়েমঙ্গলবার কেএমডিএ-কে চিঠি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়। তিনি কেএমডিএ-র অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, পুজোর আগে রাস্তা অতিরিক্ত উঁচু করায় মানুষ সমস্যয় পড়ছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রী পুজোর আগে এ ভাবে আর কোনও রাস্তা না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
চলতি বর্ষায় হাওড়া পুরসভা এলাকার অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরে কার্যত প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। হাওড়া পুরসভা চরম অর্থসঙ্কটে ভোগায় কেএমডিএ-কে শহরের প্রধান ন’টি রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে পঞ্চাননতলা রোডের ৮০০ মিটার অংশ কংক্রিট করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু রাস্তাটি প্রায় ১০ ইঞ্চি উঁচু করায় পাশের রাস্তা ও গলিতে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে অরূপ বলেন, ‘‘পঞ্চাননতলা রোড থেকে বহু মানুষ, ক্লাব কর্তৃপক্ষ, বড় বড় পুজো কমিটি অভিযোগ করেছেন, রাস্তা উঁচু করার জন্য বৃষ্টিতে জল জমলেই তাঁদের বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে।’’ মন্ত্রীর দাবি, এ ভাবে রাস্তা উঁচু করায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। পুজোর আগে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়, তার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে হাওড়া জেলার বিজেপি নেতা তথা বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে, রাস্তা উঁচু করে ঢালাই করে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের করের টাকা নয়ছয় করছে। এটা চলতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’’