• হাই কোর্টের নির্দেশে বেআইনি ক্লাবঘর ভাঙা ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ায়
    আনন্দবাজার | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বেআইনি ভাবে নির্মিত একটি ক্লাবঘর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার তুমুল উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শিবপুরের নিমতলায়। ৫৮ বছরের পুরনো দুর্গাপুজোয় অনিশ্চয়তা তৈরি না করেকেন পুজোর পরে আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ক্লাবের সদস্য এবং এলাকার কয়েকশো মহিলা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুরসভা ও পুলিশেরকাছে ক্লাব ভাঙার কাজ পুজোর পরে করার জন্য বার বার আবেদন জানানো হলেও লাভ হয়নি। পুলিশ ও পুরসভা থেকে জানানো হয়,আদালতের নির্দেশ মতোই এই কাজ হচ্ছে।

    এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়ার শিবপুরের কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনে একটি ২৯ কাঠা জমির পিছনের অংশে তৈরি ওই ক্লাবের দোতলা ভবন এবং পুজোর ভোগের রান্নাঘর-সহ অন্য নির্মাণকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল আদালত। ওই মাঠের সমস্ত বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে ভাঙতে হাওড়া পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো এ দিন ওই ক্লাবের বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু করে পুরসভা।

    পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন পুরকর্মীরা ভাঙার কাজ করতে এলে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। পুলিশ ও পুরসভার কাছে আবেদন করেও কাজ না হওয়ায় বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলেন, হাওড়া শহরে এত বেআইনি নির্মাণ না ভেঙে এই ক্লাবের বেআইনি অ‌ংশ ভাঙার ব্যাপারে পুরসভা ও পুলিশ হঠাৎ অতি সক্রিয় হয়ে উঠল কেন? স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই ক্লাবের সদস্যা ঝিমলি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাওড়া শহরের অত্যন্ত নামকরা থিমের পুজো হয় এই ক্লাবে। পুরসভা ও পুলিশকে বার বার বলেছিলাম, পুজো মিটে গেলে ভাঙার কাজ শুরু করতে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পুলিশ ও পুরসভা হঠাৎ এত সক্রিয় হয়ে উঠল কেন, বুঝতে পারলাম না। এখন পুজো হবে কিনা, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’’ ক্লাবের সদস্য ও পুজোর থিমের রূপকার দীপক দাস বলছেন, ‘‘পুজোর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এ বার আমাদের পুজোর থিম। কী ভাবে শেষ করব জানি না। আসলে পুজোটাই শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, বুঝতে পারছি না।’’

    তবে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সময়ে আইন-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা দেখতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করা হচ্ছে এবং হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)