কলেজে স্নাতকে ভর্তির কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল থেকে আবেদনকারীদের বিষয়ে তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ তথা নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি মানস কবি। তাঁর অভিযোগ, আশুতোষ কলেজে আবেদনকারীদের ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকটি ফোন নম্বর থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। ভবানীপুর থানার ওসি-র উদ্দেশ্যে লেখা মানসের অভিযোগপত্রটি রবিবার আশুতোষ কলেজের ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়েছে। সরকারি পোর্টালের তথ্য ফাঁস নিয়ে ওই বিশিষ্ট অধ্যক্ষের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কলেজের কয়েক জন ছাত্রের কাছ থেকে মানস আবেদনকারীদের ধরে ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি করানোর অভিযোগ পেয়েছেন বলে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানাকে জানিয়েছিলেন। কোনও কোনও মহলের মতে, এ হেন অভিযোগ সরকারি ভর্তি পোর্টালের অন্দরে স্বচ্ছতায় খামতির দিকেই আঙুল তুলছে। বিকাশ ভবনের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টিতে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে, মানস শিক্ষা দফতরের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেন প্রথমেই পুলিশে গেলেন এবং পুলিশের কাছে দায়ের করা তাঁর অভিযোগ সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করলেন, তা নিয়েও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। মানস অবশ্য সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশের কাছে তাঁর চিঠির বয়ান কার্যত অস্বীকার করে মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমি আবার কখন বললাম, কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের তথ্য বেরিয়ে যাচ্ছে?’’ তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক জন বলছিলেন, ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তির কথা বলা হচ্ছে। আশুতোষ কলেজে ম্যানেজমেন্ট কোটা বা টাকার বিনিময়ে ভর্তির প্রশ্নই নেই।’’ কিন্তু কারা, কিসের ভিত্তিতে তাঁর কাছে অভিযোগ করেছে, প্রশ্ন করা হলে মানস বলেন, ‘‘এটা আমার বিচার্য বিষয় নয়। পুলিশগিরি করতে পারব না।’’ সব মিলিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছে বলে জানা গিয়েছে।