• নেই জল, চারিদিকে শুধুই নোংরা, ভারতের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন ট্রেন কোনটি জানেন? গন্তব্যে পৌঁছতে তিন দিন সময় লাগে
    আজকাল | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম বড় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক রয়েছে ভারতে। বিশ্ব জুড়ে প্রথম পাঁচটি বড় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে ভারতীয় রেল একটি। নূন্যতম খরচে নিত্যদিন রেলপথেই লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েক হাজার রেল স্টেশন। 

    তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় রেলের অধীনে দেশজুড়ে সাত হাজর ৩০৮ -এর বেশি রেল স্টেশন রয়েছে। নিত্যদিন ১৩ হাজারের বেশি রেল চলাচল করে। যার মধ্যে লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেন, উভয়ই রয়েছে। জানা গেছে, শুধুমাত্র রেলপথেই ২০ মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। সবচেয়ে কম খরচে যাতায়াতের অন্যতম উপায় এই রেল। 

    যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিয়ম জারি করেছে ভারতীয় রেল। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীরা যাতেসুরক্ষিত থাকেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। প্রতিদিন যে হাজার ট্রেন চলাচল করে, এর মধ্যে প্রত্যেকের ব্যবস্থা সমান নয়। কোনওটি লোকাল ট্রেন, কোনওটি দূরপাল্লার। কিছু ট্রেন ধীর গতিতে রায়, আবার ট্রেনের ব্যাপক স্পিডে পৌঁছে যায় গন্তব্যে। বন্দে ভারত, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে খাবারের ব্যবস্থা, কমফোর্টও থাকে। 

    কিন্তু জানেন কি দেশের মধ্যে সবচেয়ে নোংরা, অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন ট্রেন কোনটি? যথাযথ ভাড়া দেওয়ার পরেও যদি ট্রেনে দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপরিচ্ছন্ন থাকে, তাহলে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি এক ব্লগার সেই ট্রেনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ট্রেনের বগিতে যত্রতত্র ময়লা, টয়লেটে নেই জল, সেটিও পরিষ্কার করেননি কেউ। সেই ট্রেনের ভিডিও সহ অভিজ্ঞতা ভাগ করতেই নেটিজেনদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। 

    যদিও ভারতীয় রেলের তরফে এই সবচেয়ে অপরিষ্কার, নোংরা ট্রেনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু যাত্রীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এবং অনুযোগের ভিত্তিতে অপরিষ্কার ট্রেনগুলির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু রয়েছে। ট্রেনে ময়লা থাকলে, অপরিষ্কার থাকলে, সেই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন যাত্রীরা। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গেছে, ভারতীয় রেলে নোংরা, জল না থাকার মতো সমস্যা নিয়ে এক লক্ষ ২৮০ বার অভিযোগ জানিয়েছেন যাত্রীরা। 

    ট্রাভেল ব্লগার উজ্জ্বল সিং জানিয়েছেন, ডিব্রুগড়- কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস চার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। ৭৫ ঘণ্টা সময় নিয়ে কন্যাকুমারী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত যায়। ৯টি রাজ্য পাড় করে গন্তব্যে পৌঁছয় এই ট্রেন। ট্রেনের বসার সিট থেকে টয়লেট, বেসিন, যত্রতত্র ছড়ানো থাকে ময়লা। পানের পিক, সিগারেটের টুকরো ভরে থাকে টয়লেটে। ট্রেনের টয়লেট ও বেসিনে জল থাকে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। 

    বয়স্ক থেকে শিশুরাও এই ট্রেনের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাটাতে বাধ্য হন। গন্তব্যে পৌঁছতে পৌঁছতেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সকলকে। ট্রাভেল ব্লগারের শেয়ার করা ভিডিও দেখে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরাও। কেউ কেউ ভারতীয় রেলকে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি অনেকেই জানিয়েছেন, দূরপাল্লার আরও একাধিক ট্রেনেও অবস্থাও একইরকম। 
  • Link to this news (আজকাল)