আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাড়ি চালাতে চালাতেই হস্তমৈথুন। এদিকে পিছনের সিটেই বসেছিলেন দিল্লি ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী। ছাত্রী গাড়িতে ওঠার পরেই চলন্ত গাড়িতে হস্তমৈথুনের অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাব চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার গাড়িটিও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির মৌরিস নগরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ৪৮ বছরের লোম শঙ্করকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ছাত্রী আদতে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষার জন্য দিল্লিতে থাকেন। আম্বেদকর ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তরের ছাত্রী তিনি। তাঁর অভিযোগ, তিনি গাড়িতে ওঠার পরেই ক্যাব চালক হস্তমৈথুন শুরু করে।
পুলিশের কাছে তরুণী অভিযোগ জানিয়েছেন, ক্যাবটি তিনি হস্টেলের সামনে থেকে বুক করেছিলেন। ক্যাব চালক প্রথমে তাঁকে সামনের সিটে বসার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন ছাত্রী। ছাত্রী দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা জানার পর, ওই ক্যাব চালক একাধিক কুমন্তব্য করে তাঁকে দেখে। চলন্ত গাড়িতে একাধিকবার তরুণীকে স্পর্শ করার চেষ্টাও করেছিল। এরপর মাঝ রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে চালক হস্তমৈথুন করতে শুরু করে।
মৌরিস নগর থানায় ক্যাব চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পুলিশ অভিযুক্ত ক্যাব চালককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল গুরুগ্রামে। পেশায় মডেল ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়াবহ ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি জয়পুর থেকে গুরুগ্রামে এসেছিলেন। গত ২ আগস্ট বেলা ১১টা নাগাদ রাজীব চক এলাকায় একটি ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় এক যুবক তাঁর থেকে খানিকটা দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তরুণীর অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডে আরও অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই সময়। কিন্তু ওই যুবক একটানা তাঁর দিকে তাকিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর তরুণীর কাছে এগিয়ে আসেন। এরপর ব্যাগটি বুকের সামনে রেখে, প্যান্টের চেন খুলে দেন। তরুণীকে দেখে ভরা রাস্তায় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে হস্তমৈথুন করতে শুরু করে দেন তিনি।
তরুণী লিখেছেন, 'বাসস্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে যখন ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সেই সময়েই ওই যুবক আমার কাছে সরে আসেন। একনাগাড়ে আমার শরীরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে প্যান্টের চেন খুলে, ব্যাগের আড়াল থেকে হস্তমৈথুন করতে শুরু করেন।' ভিডিওবার্তায় তরুণী আরও জানিয়েছেন, ঘটনার জেরে হকচকিয়ে যান তিনি। হতভম্ব হয়ে চিৎকার করতে পারেননি। সেদিন আশেপাশের কাউকেই জানতে দেননি। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও, যথাযথ পদক্ষেপ তড়িঘড়ি করে করেনি তারা।
তরুণীর আরও বক্তব্য, 'অনেকেই বলেছেন, আমার চিৎকার করে লোক জড়ো করা উচিত ছিল। চড় মারা উচিত ছিল। কিন্তু কেউই বুঝতে পারছেন না, এই ধরনের ঘটনার সময় একজন মেয়ের মনে কতটা ঝড় বয়ে যায়।' ঘটনাটির পরেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ অনলাইনে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।
তরুণী আরও জানিয়েছেন, 'আমি ঘরে পৌঁছেই তড়িঘড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি লিখে জানাই। সেই পোস্টে পুলিশ, রাজ্য সরকার, এবং মহিলা সুরক্ষা কমিটিকেও ট্যাগ করেছিলাম। কিন্তু কেউ কোনও সাড়া দেননি। পুলিশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, থানায় এসে এফ আই আর দায়ের করতে হবে। অনলাইনে অভিযোগ শুনবে না তারা।'
পেশায় মডেল ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে ৩৮ হাজার ফলোয়ার রয়েছে তাঁর। ভিডিওটি বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুবকের পরিচয়, নাম জেনে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।