জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে! বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে যা করলেন যুবক, জানলে চমকে উঠবেন ...
আজকাল | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নয়ডাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা৷ খবর অনুযায়ী একজন পুলিশকর্মী এক ২৮ বছর বয়সী বিবাহিত যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও বিয়ের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজা মিয়ান ওরফে এহসান সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাটি সামনে আসে যখন ওই যুবতীর মা এলাহাবাদ হাইকোর্টে মেয়ের সন্ধান চেয়ে একটি আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করা শুরু করে। তল্লাশির পর অবশেষে ভুক্তভোগী যুবতীকে চেন্নাই থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাজা মিয়ান ওই যুবতীকে প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে। এরপর জোর করে তার নিজ ধর্ম ইসলামে ধর্মান্তর করান। শুধু তাই নয়, এমনকী নাম পরিবর্তন করে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে একটি বিবাহ (নিকাহ) সম্পন্ন করেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী এখনও তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তাঁদের কোনও তালাক হয়নি। জানা গিয়েছে, ভুক্তভোগীর একটি ছয় বছর বয়সী সন্তানও রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় রাজা মিয়ানের পুরো পরিবার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। রাজা মিয়ানের মা নিজেকে ওই যুবতীর খালা পরিচয়ে উপস্থাপন করেন, আর তাঁর ভাই ওই যুবতীর ভাই সেজে নিকাহ্ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেন। পাশপাশি স্থানীয় এক মৌলভী ভুয়ো নিকাহনামা প্রস্তুত করেন বলে খবর মিলেছে।
এই ঘটনায় রাজা মিয়ান, তার বাবা, মা, ভাই এবং মৌলভীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রাজা মিয়ান, তার বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। তবে রাজা মিয়ানের ভাই এবং অভিযুক্ত মৌলভী এখনও পলাতক রয়েছেন বলেই খবর। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ)-এর শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফের বিতর্কিত বক্তব্য রাখলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। অগাস্ট মাসে, '১০০ ইয়ারস জার্নি অফ আরএসএস: নিউ হরাইজনস' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দাবি করেন- হিন্দু ও মুসলমানসহ 'অখণ্ড ভারত'-এর ভূখণ্ডে বসবাসকারী সকল মানুষের ডিএনএ গত চল্লিশ হাজার বছর ধরে একই রকম রয়ে গিয়েছে।
ভাগবতের বক্তব্য অনুযায়ী, যাঁরা এই ভূখণ্ডে বাস করেন, তাঁরা সবাই হিন্দু, যদিও কেউ কেউ নিজেদের হিন্দু বলে স্বীকার করেন না বা ভুলে গিয়েছেন যে তাঁরাও হিন্দু। এ প্রসঙ্গে তিনি হিন্দুদের চার ভাগে ভাগ করেন— ১. যারা গর্বের সঙ্গে নিজেদের হিন্দু পরিচয় মানেন। ২. যারা জানেন তাঁরা হিন্দু কিন্তু বিশেষ গুরুত্ব দেন না। ৩. যারা জানেন অথচ বিভিন্ন কারণে নিজেদের হিন্দু বলতে চান না।৪. যারা জানেনই না তাঁরা হিন্দু।
তবে ভাগবতের মতে, যাঁরা নিজেদের হিন্দু বলতে চান না, তাঁরাও ‘হিন্দাভি’ বা ‘ভারতীয়’ পরিচয়ে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। অনেকে আবার নিজেদের ‘সনাতনী’ হিসেবেও মেনে নেন। তিনি বলেন, 'যদি কেউ হিন্দু শব্দটি মানতে না চান, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু তাঁরা যদি হিন্দাভি বা ভারতীয় পরিচয়ে বিশ্বাস করেন, তাহলেই যথেষ্ট- কারণ এর মর্মে রয়েছে ভক্তি ভরত মাতার প্রতি এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সাধারণ ঐতিহ্যের প্রতি।'