• 'কেউ ঝামেলায় জড়াবেন না, কেউ হঠাৎ করে...', নেপাল পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মমতার নির্দেশ...
    ২৪ ঘন্টা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জেন জি বিক্ষোভে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে নেপালে (Nepal)। সহিংস বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই নেপালে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৩০০-রও বেশি। কাঠামাণ্ডু সহ বেশ কয়েকটি শহরে জারি হয়েছে কারফিউ। মঙ্গলবার দিনভর প্রতিবাদে নাম চলে বেলাগাম হিংসা! এরপরই বাংলার উত্তরের জেলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কারণ বাংলার সীমান্ত লাগোয়া দেশের এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা এপাড়েও। 

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'নেপাল আমার দেশ নয়। এটা বিদেশি রাষ্ট্র। এই ব্যাপারে কথা বলতে পারি না। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কিছু বললে বলতে পারি। এটা  কেন্দ্র দেখছে। আমার অনুরোধ থাকছে, সীমান্ত এলাকায় নজর রাখুন সকলে। কোনও গন্ডগোল জড়িয়ে পড়বেন না। ওখানে শান্তি ফিরে আসুক। আমারা মনে করি, পাড়া-প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব।'

    নেপালের অশান্তির জেরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে উত্তরকন্যার পাশে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কন্যাশ্রী থেকে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত সম্পর্কে কোনও খবরাখবরই নিতে পারছিলেন না তিনি। এমন অবস্থায় আর কন্যাশ্রীতে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। মাঝরাতেই সটান হাজির হয়ে যান উত্তরকন্যায় নিজের অফিসে। সেসময় উত্তরকন্যা একদম খালি। একাই নিজের ঘরে ঢুকে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বসেই শুরু করেন একের পর এক প্রশাসনিক আধিকারিকদের ফোন করে সীমান্ত সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ। 

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যখন ভারত সরকার এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেবে, তারপরই আমি কিছু বলতে পারি। আমার শুধু আবেদন থাকবে, শিলিগুড়ি, কালিম্পং, আমাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বর্ডার রয়েছে, সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে। কেউ যাতে কোনও সমস্যায় জড়িয়ে না পড়েন। যেহেতু এটা আমাদের ব্যাপার নয়। তারা তাদেরটা ঠিক করুক। প্রতিবেশী ভাল থাকলে, আমরাও ভাল থাকি। তবে কেউ হঠাৎ করে ঝুঁকি নিয়ে ওখানে চলে যাবেন না। আমাদের না জানিয়েও যাবেন না।'

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)