অয়ন ঘোষাল: খাস কলকাতায় মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। দিদির সম্মান রক্ষায় রক্তাক্ত ভাইও। গাড়ি পার্কিংকে ঘিরে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের চিকিৎসকের। বাগুইআটির রঘুনাথপুরের একটি আবাসন চত্বরে মহিলা চিকিৎসকের চেম্বার।
গত বুধবার রাতে চেম্বারের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা আবাসনের সেক্রেটারি ভবতোষ ঝাঁ'র। অভিযোগ, চিকিৎসকের গাড়ির পিছনে নিজের গাড়ি দাঁড় করিয়ে পথ আটকান ভবতোষ। চিকিৎসক প্রতিবাদ করলে তাঁর বুকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ভবতোষ ঝাঁ এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। দিদিকে রক্ষা করতে গিয়ে ধারালো বস্তু দিয়ে চিকিৎসকের ভাইয়ের কপালে আঘাত করলে অঝোরে রক্ত বেরোতে থাকে।
শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ভবতোষের। চিকিৎসকের ভাই নিজের দোষেই গাড়ির দরজায় আঘাত লেগে মাথায় চোট পান বলে দাবি ভবতোষের। তাঁর দাবি, চিকিৎসক চেম্বারে অসামাজিক কাজকর্ম করেন। অসম্পাদিত সিসি ফুটেজ দেখলেই সব স্পষ্ট হবে, পাল্টা বক্তব্য মহিলা চিকিৎসকের। এ ছাড়া ঘটনার রাতের দু'টি চিকিৎসকের মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো রয়েছে।
উল্লেখ্য, হরিদেবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত চন্দন মালিক। জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে গণধর্ষণের ঘটনায় বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত চন্দন মালিক।
জানা গিয়েছে, চন্দন দক্ষিণ কলকাতার নামি পুজোর সঙ্গে যুক্ত। পুলিস ইতোমধ্যেই অপরাধে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। এখনও পর্যন্ত আর এক অভিযুক্ত দীপ ওরফে দেবাংশু বিশ্বাস পলাতক। দীপ সরকারি কর্মচারী, এবং এর বাড়িতেই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।