অক্টোবরেই দেশজুড়ে SIR! সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের প্রস্তুতি সারার নির্দেশ কমিশনের
প্রতিদিন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনাই সত্যি। বিহারের পর দেশজুড়েই শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR। বুধবার সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সূত্রের খবর, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যের CEO-দের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। অক্টোবরের যে কোনও দিন SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করতে রাজ্যগুলি কতখানি প্রস্তুত খতিয়ে দেখা হয় ওই বৈঠকে। ইতিমধ্যেই বিহারে সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্যদিকে, সংশোধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সব বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সূত্র বলছে, বিহারের পর দেশজুড়েই কমিশন বিশেষ নিবিড় সংশোধন করতে চাইছে। সেটা পুজোর পর অর্থাৎ অক্টোবর মাসে শুরু হতে পারে। সেই মতো ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
SIR নিয়ে এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা চলছে। বিহারের ক্ষেত্রে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য ১১টি নথির কথা প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেছিল। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ডও সংযুক্ত হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এবং কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, আধার শুধুমাত্র পরিচয়পত্র, কোনওভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়। অর্থাৎ শুধু আধার দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নাও উঠতে পারে। গোটা দেশে SIR হলে সে ক্ষেত্রে কী কী নথি চাওয়া হয়, বা কী কী শর্ত আরোপ করা হয়, সেটাই দেখার।
গোটা দেশে যদি অক্টোবরে SIR হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে বাংলাতেও ওই সময়ই নিবিড় সংশোধনী হবে। বাংলায় যদি SIR হয়, তাহলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকাকে প্রামাণ্য ধরা হতে পারে। অর্থাৎ বাংলার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের পর যাঁদের নাম উঠছে তাদের নথি দেখাতে হবে। যাদের ভোটার তালিকায় ২০০২ সালের পর নাম উঠেছে তাদের অভিভাবকদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকলে, অভিভাবকদের জন্য আলাদা কোনও নথি জমা দিতে হবে না। না থাকলে অভিভাবকের নথিও দিতে হতে পারে। যদিও রাজ্যের শাসকদল স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনওভাবেই কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। সেই ‘অপচেষ্টা’ হলে রুখে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।