• সংবিধানই দেশের রক্ষাকবচ, ‘নেপালের অবস্থা দেখুন’, বড় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
    প্রতিদিন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে দুর্নীতি এবং সোশাল মিডিয়া ইস্যুতে জেন জি-র আন্দোলনে পতন হয়েছে কেপি শর্মা ওলি সরকারের। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এরপর তৈরি হয়েছে অরাজক পরিস্থিতির। সরকারি, বেসরকারি ভবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপ্রধানদের বাসভবনে আগুন দিয়েছে জনতা। এমনকী পুড়িয়ে মারা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে। জেল ভেঙে পালাচ্ছে কয়েদিরা। বুধবার একটি মামলায় অস্থির নেপালের প্রসঙ্গ টেনে বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “প্রতিবেশী দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমাদের সংবিধানের জন্য আমরা গর্বিত।” কোন মামলায় এই মন্তব্য করল আদালত?

    গত ১২ এপ্রিল শীর্ষ আদালত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং রাজ্যপালদের জন্য বিল অনুমোদনের জন্য দিনক্ষণ (Deadlines) নির্দিষ্ট করা হয়। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে ভারতীয় সংবিধানের শক্তির কথা উল্লেখ করা হল। স্পষ্ট করা হল, রাষ্ট্রপ্রধানদের ঊর্ধ্বে জনস্বার্থ। সেই কারণেই সংবিধানের রক্ষাকবচ। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, “আমাদের সংবিধানের জন্য আমরা গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “…তাকিয়ে দেখুন আমাদের প্রতিবেশী দেশে কী চলছে। নেপাল, আমরা দেখছি।” হিমালয়ের দেশে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে গত আটচল্লিশ ঘণ্টার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশেও এক ঘটনা দেখা গিয়েছিল।

    নেপালের নড়বড়ে রাজনৈতিক অবস্থার সবথেকে বড় উদাহরণ সেদেশে গত ১৭ বছরে ক্ষমতায় এসেছে ১৪টি সরকার। সশস্ত্র আন্দোলনের পর রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসে পুষ্পা কমল দাহাল প্রচণ্ডর বামপন্থী সরকার। ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর সংবিধানে সংশোধন আনা হয়। ফের বুদ্ধের দেশে সংবিধান সংশোধনের ডাক দিয়েছে জেন জি বিপ্লবীরা।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কায়দায় দেশে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে ‘জেন জি’ বিপ্লবীরা। বলা হচ্ছে সংবিধান সংশোধনের কথা। এছাড়াও গত কয়েক দশকে দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতারা যে দেশের সম্পদ লুট করেছেন, তার তদন্ত দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া ‘সেপ্টেম্বর বিপ্লবে’ নিহত ২২ জন যুবা আন্দোলনকারীকে শহিদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি উঠেছে। নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা, বেকারত্বের সমাধান, অনুপ্রবেশ রোখার দাবিও জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)