সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টে ধোপে টিকল না ভোটচুরির অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে, মামলাকারীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোটচুরি করা হয়েছে’, গুরুতর এমনই অভিযোগ তুলে জাতীয় রাজনীতিতে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগকে কেন্দ্র করে একপ্রস্থ দন্দ্ব হয়েছে কমিশন ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও করে ইন্ডিয়া জোট। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই মাদ্রাজ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ভি ভেঙ্কট শিব নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি এমএমএম শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি জি অরুল মুরুগনের বেঞ্চে। মামলাকারীর দাবি ছিল, যে অভিযোগ বিরোধীদের তরফে তোলা হয়েছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক কমিশনকে।
এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, “সম্পূর্ণ ভুল ধারনার উপর ভিত্তি করে আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবির পক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। মামলাটি মূলত অভিযোগ, পালটা অভিযোগের উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর হাতে যথেষ্ট প্রমাণও নেই। আবেদনও অস্পষ্ট। নির্বাচন কমিশনকে তার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য এভাবে কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না।” এরপরই আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য মামলাকারীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় হাই কোর্টের তরফে।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ভোটার তালিকা তুলে ধরে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাহুল। লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, মোট ছ’রকম ভাবে ভোটচুরি হচ্ছে। এমনকী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে বহু আসনে ভোটচুরি করে জিতেছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। গত কয়েকদিন লাগাতার এই অভিযোগে সরব হচ্ছেন রাহুল। এমনকী ভোটমুখী বিহারে ভোট অধিকার যাত্রাও করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। রাহুলের অভিযোগের জবাব দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশন। ‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে নাম না করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।