স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: সংসদের পর এবার তথ্য জানার অধিকার আইনকেও বুড়ো আঙুল দেখানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এতদিন সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে বিরোধী দলের নানা সাংসদ অভিযোগ করতেন যে, সরকার প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এবার একই অভিযোগে বিদ্ধ হতে হল তথ্য জানার অধিকার আইনকে।
সম্প্রতি গঙ্গার ভাঙন, তা রুখতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে জলশক্তিমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানাঘাটের যাদবপল্লি জিএসএফপি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক সিনথল ঘোষ। যেখানে রাজ্যের দুই জ্বলন্ত ও জনস্বার্থ সংক্রান্ত সমস্যা গঙ্গা ভাঙন ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তিনি। জবাবে কেন্দ্র যা জানায়, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সিনথল। অভিযোগ করেন, “বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে গিয়েছে সরকার।”
জলশক্তিমন্ত্রকের কাছে সিনথল যা জানতে চেয়েছিলেন, তার মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এড়িয়ে গিয়েছে মন্ত্রক। গঙ্গাভাঙন রুখতে কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মোট বকেয়া অর্থের পরিমাণ কত। এই খাতে শেষ কবে রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। গত পাঁচ অর্থবর্ষের কোন বর্ষে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কত টাকা বকেয়া আছে-এই প্রশ্নগুলির কোনও উত্তরই দেয়নি মন্ত্রক। শুধু বলা হয়, এর উত্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে নেই। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে রাজ্যকে অর্থ পাঠাতে কেন্দ্রের কী পরিকল্পনা ও গঙ্গার ভাঙন রুখতে কেন্দ্রের কী পরিকল্পনা-এই দুই প্রশ্নের যে উত্তর দেওয়া হয়েছে, তাতেও সন্তুষ্ট নন প্রশ্নকর্তা।
নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রানাঘাটের শিক্ষকের বক্তব্য, “গঙ্গার ভাঙন আমাদের রাজ্যের এক অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। পাশাপাশি, প্রতি বছর বন্যার সমস্যা মেটাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়ন করাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই দুই ক্ষেত্রেই কেন্দ্র যে উদাসীন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল কেন্দ্রের বক্তব্যে। ওদের এই বিষয়ে কী বক্তব্য, তা সম্পর্কে। প্রকৃত তথ্য চেয়েছিলাম, অথচ সরকার তা এড়িয়ে গেল। আমি খুবই হতাশ।”