নেপালে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন! শান্তি চেয়ে কবিতা লিখলেন ‘উদ্বিগ্ন’ মমতা
প্রতিদিন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত নেপাল। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্য়ুতে কলম ধরলেন তিনি। লিখলেন কবিতা। নেপালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
বুধবার উত্তরকন্যা থেকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকুক। বাংলা মনুষ্যত্ব, মানবিকতার জন্ম দেয়। জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়ে মিথ্যের নামে উল্লাস করা মানবিকতা নয়। কারও বিরুদ্ধে কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে। নিজের স্বার্থে দেশভাগ, রাজ্যভাগ, জেলাভাগ করব। কিছু সুযোগসন্ধানী লোক আছে। তারা সুযোগ নেবে। কিন্তু তা যেন মানুষের জীবন না জ্বালায়। অত্যাচার না করে। অনাচার না করে। আমাদের দলের কেউ হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। জানো আমি ব্যবস্থা নিই। আমি নিজেদের দলের অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তখন মনে করি না কারও কি ভঙ্গিমা, কী বাচনভঙ্গি, আমার একটা লক্ষ্য, তাঁর একটা লক্ষ্য। এসব মনে করি না।”
বলে রাখা ভালো, উত্তরবঙ্গ থেকে নেপালের দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সে কারণে উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে তাই জলপাইগুড়িতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছু কাজ থাকায় মুখ্যসচিব ফিরবেন কলকাতায়। শান্তি ফিরলে হয়তো বৃহস্পতিবার শহরে ফিরবেন মমতা। নইলে সিদ্ধান্ত বদল। এই সময় জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “কেউ কেউ মাছ ধরতে জলে নামবে, আমি বলব সতর্ক থাকতে। কেউ কেউ নিজের স্বার্থে এই কাজগুলি করে। সঙ্গে একটা ইস্যু রাখে। নেপালে বামপন্থী সরকার। আমাদের বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজায় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। এরপর মঙ্গলবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জনরোষের মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ওলি। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তো আসেনিই, উলটো বিভিন্ন ধরনের অশান্তির খবর আসছে।