ভোটে প্রার্থী হতে চাইছেন অনেকেই! শাহের সফরের আগে বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্কলহ
প্রতিদিন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মাসেই মহালয়ার পরদিন কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। আর শাহ আসার আগেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে বঙ্গ বিজেপির। নিজের নয়া টিমের সদস্যদের নাম ঘোষণা করে দিতে পারেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব চেষ্টা চালাচ্ছে পুজো উদ্বোধনের ঝটিকা সফরে অমিত শাহ এলেও তাঁর এই অল্প সময়ের কর্মসূচির মধ্যেই যদি রাজ্য বিজেপির নতুন টিমের সঙ্গে একটা বৈঠকের আয়োজন করা যায়। এদিকে, নতুন রাজ্য কমিটির পদাধিকারীতে কারা কারা থাকছেন, কারা বাদ যাবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বর্তমান পদাধিকারীতে থাকা অনেকেই পদ ধরে রাখার জন্য রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছেও আলাদা করে দেখা করেছেন বলেও খবর।
সূত্রের খবর, মহালয়ার আগেই রাজ্য বিজেপির নতুন টিম ঘোষণা করে দেবেন শমীক। আর সেই টিমের সভাপতির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শেষ মুহূর্তের খবর। বর্তমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মন, অগ্নিমিত্রা পাল এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শেষ মুহূর্তে যদি কোনও সিদ্ধান্ত বদল না হয় তাহলে এই পাঁচজনের মধ্যে তিন জন নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন। অন্যদিকে, সহ-সভাপতি এবং সম্পাদক পদ থেকেও একাধিক নাম বাদ পড়তে চলেছে। নতুন কমিটিতে ঢুকতে চলেছেন বহু পুরনো নেতা। তবে রাজ্য কমিটি ঘোষণার আগে অবশ্য আরেকটি বিষয় নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশের নেতৃত্ব সংগঠনের পদ পাওয়ার থেকে ভোটে লড়তে আগ্রহী বেশি। অনেকে আবার চাইছেন সংগঠনে থাকলেও তাঁদের ভোটে লড়তে দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছে যে, যাঁরা ভোটে লড়বেন তাঁদের কোনও সাংগঠনিক পদ দেওয়া হবে না। ফলে এই বিষয়টা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। তাই এই জটিলতায় নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে ঠিক করেছে যে যাঁরা সংগঠনের পদে থাকবেন তাঁরা ভোটে লড়বেন না। আর যাঁরা বিধানসভার টিকিট পাচ্ছেন, তাঁদের সংগঠনের কোনও দায়িত্বে রাখা হবে না। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও একমত হয়েছেন। একাংশের নেতারা চাইছেন পদেও থাকতে, ভোটে টিকিটও পেতে।