আজকাল ওয়েবডেস্ক: হুগলিতে সারমেয় ‘হত্যার’ অভিযোগ উঠল। এবার চণ্ডীতলায় সারমেয় হত্যার অভিযোগ উঠেছে। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে দুটি পথ কুকুরকে হত্যার অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে কুকুরগুলিকে তাঁরা খাবার দেন। সুস্থ কুকুরগুলির দু’জনকে সকালে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। খবর দেন আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকেও। আশ্রয়ের সম্পাদক গৌতম সরকার বিষয়টি চণ্ডীতলা থানার ওসি অনিল রাজকে জানান। অনিল বাবুর নির্দেশে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব আইচ জানান, সিসিটিভি ফুটেজে ভোর চারটে নাগাদ সাদা হাফ প্যান্ট পরিহিত একজনকে কুকুরগুলিকে কিছু খেতে দিতে দেখা যায়। তারপরই কুকুরগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই চণ্ডীতলা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আশ্রয় হোম অ্যান্ড হসপিটাল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, অবলা প্রাণীদের উপর নৃশংস অত্যাচার বন্ধ হওয়া দরকার। ওরা কথা বলতে পারে না, সাক্ষী দিতে পারে না, মানুষেরই উচিত ওদের পাশে দাঁড়ানো। পশুপ্রেমী মাবুদ আলি বলেন, পশুরা ছাড়া এই পৃথিবীও বাঁচতে পারবে না। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব আইচ, দেবজিৎ ঘোষ, সুব্রত রায় বলেন, আমরা ওই পথকুকুরগুলোর দেখাশোনা করতাম। খাবার দিতাম। টিকাও দিতাম। খুব খারাপ লাগছে। অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
মৃত কুকুরদুটির ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে সারমেয় হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শাস্তিও হয়েছে। তা সত্ত্বেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।