•  পাথর তোলার কাজ করছিলেন ওঁরা, আচমকা বাঁশবাগানে যা দেখলেন, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ফোন পুলিশে...
    আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামনেই পাথর তোলার কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। আচমকা তাঁদের নজরেই আসে বিষয়টি। তারপরেই খবর যায় পুলিশে। অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চন্দননগরের নবগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য। 

    জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে চন্দননগর কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রামে চন্দননগর স্টেশন রোডের পাশে একটি বাঁশ বাগানে। বুধবার দুপুরে পাথর তোলার সময় কয়েকজন দেহ দেখতে পান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।

    পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের ভিডিওগ্রাফি করে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মহিলার পরনে শাড়ি,দুই হাতে নোয়া ছিল। পাশে একটি ব্যাগে বেশকিছু খুচরো পয়সা ছিল। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, মহিলার দেহ থেকে কয়েক হাত দূরে কার্বোলিক অ্যাসিডের বোতল উদ্ধার হয়েছে। 

    তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরা কেউই ওই মহিলাকে চেনেন না। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাইরের কোনও জায়গা থেকে মহিলা পৌঁছেছিলেন ওই জায়গায়। প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। দেহ চুঁচুড়া ইামাবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্ত হবে।

    এর আগে, আগস্ট মাসের শুরুতেই খাস কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় উদ্ধার যুবতীর দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই যুবতী, গৃহবধূর নাম শ্বেতা প্রসাদ সাউ। বাবা ওম প্রসাদ সাউ। স্বামী রোহিত কুমার সাউ। যুবতীর বয়স ২৯। ৭ডি/ ১বি, বেলেঘাটা রোড, বস্তাপট্টি থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ৬ আগস্ট দুপুরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। 

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছিল, স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে স্বামী রোহিত কুমার সাউ জানান, অন্যান্য দিনের মতো তিনি সেদিনেও ৭:০০ টায় ৭, গুড়িপাড়া রোড ঠিকানার তাঁর দোকানের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত ১১:০০ টায় বাড়ি ফিরে আসেন। আর্থিক অনটনের কারণে তাঁদের মেঘালয় ভ্রমণ বাতিল হয়ে ঘিয়েছিল। ঘরে ফেরার পর এই প্রসঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তীব্র বিবাদ হয় বলে জানিয়েছেন । রোহিত জানিয়েছেন, বাক-বিতণ্ডার পর তিনি সেখান থেকে অন্য একটি ঘরে চলে যান। তাঁর বক্তব্য, ঝগড়ার পর স্ত্রী অন্য ঘরে ছিলেন। বেশ অনেকক্ষণ পরেও স্ত্রীর কোনও খোঁজ না পেয়ে ওই ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শ্বেতার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালে রোহিত-শ্বেতার  বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। আরাধ্যা ও অন্বি। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের মতে, গত দু' বছর ধরেই এই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। 

    এর আগে, মার্চ মাসে, চন্দননগরেই এক দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। রেল ওভার ব্রিজের নীচে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় হোলির দিন। পুলিশ ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, ঘটনাটি ঘটেছে পোলবার অনন্তপুরে। শনিবার চন্দননগর রেল ওভার ব্রিজের নীচ থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহটি। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছিল, 'অনন্তপুরে ব্রিজের নিচে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে আছে খবর যায় পোলবা থানায়।' পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের শরীরে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। 
  • Link to this news (আজকাল)