• অশান্ত নেপাল, পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: বুধবার জলপাইগুড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদানের পর বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপাল নিয়ে তিনি যে উদ্বিগ্ন, তা গোপন করেননি মুখ্যমন্ত্রী।এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নেপালের সমস্যা শুনেই ছুটে এসেছি। মঙ্গলবার গোটা রাত আমি উত্তরকন্যায় ছিলাম। নেপালে অশান্তির আঁচ যাতে আমাদের এদিকে না পড়ে, তার মনিটরিং করেছি। আপনারা যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন, সেদিকে নজর রেখেছি।”পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “প্রতিবেশী দেশে শান্তি ফিরে আসুক, আমরা চাই। নেপালে আমাদের কিছু পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা চিন্তা করবেন না। দু'একটা দিন অপেক্ষা করুন। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হোক। আমরা আপনাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনব। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজেদের বিপদের মুখে ফেলবেন না।”রাজ্যের পর্যটন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির আগুন জ্বলছে। এটা দেখতে আমাদের ভালো লাগছে না। আমরা শান্তির পক্ষে। মানবিকতার পক্ষে। বাইরে থেকে পর্যটকরা বাংলায় বেড়াতে আসছেন। কোথায় যাবেন তাঁরা? সব জায়গায় তো যাওয়ার দরজা বন্ধ। গত বছর বাইরে থেকে বাংলায় ১৯ কোটি পর্যটক এসেছেন। এর মধ্যে প্রচুর বিদেশি পর্যটক। তাঁরা উত্তরবঙ্গকে ভালোবাসেন।”উত্তরবঙ্গের পর্যটনের জায়গাগুলি নিয়ে বলতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লামাহাটা থেকে গজলডোবায় ভোরের আলো সবটাই করে দিয়েছি আমরা। শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্ক হয়েছে। ভোরের আলো থেকে খুব সুন্দর সূর্যোদয় দেখা যায়। পাখির কিচিরমিচির ডাকে ভরে যায় মন। ওখানে থাকার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ধর্মীয় পর্যটন চালু করেছি। জল্পেশ উত্তরবঙ্গের খুবই জনপ্রিয় স্থান। সেখানে আমরা স্কাই ওয়াক করে দিয়েছি। ভ্রামরী দেবীর মন্দির কিংবা দেবী চৌধুরাণী মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দীঘায় জগন্নাথ মন্দির করেছি আমরা। একইভাবে বাংলায় দুর্গামন্দির হবে। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সেই মন্দির।”
  • Link to this news (বর্তমান)