• জেন জি-রা চাইছেন নেপালের শীর্ষে বসুন তিনি, সেই সুশীলার উত্তরপ্রদেশে যাতায়াত ছিল! কারকির চমকে ওঠা ভারত-যোগ সামনে...
    আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েকঘণ্টার ঘটনাক্রমে তিনি মধ্যমণি। উত্তাল নেপালে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁরাই শান্ত পরিস্থিতির জন্য সুশীলাকে চাইছেন। সুশীলা কারকি। নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। দীর্ঘদিনের নানা সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। জেন জি-দের সমর্থন পেয়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান পদে বসার জন্য তিনি প্রস্তুত। এই মুহূর্তে নেপাল চালানো সেনা, তাঁরা কারকি-কে মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনাও বিস্তর। তার মাঝেই উঠে এসেছে সুশীলা কারকির ভারত-যোগের কথা।

    এক নজরে সুশীলা কারকি-

    সুশীলা কারকি, বয়স ৭২। 

    ১৯৫২ সালের ৭ জুন, মোরাং জেলার বিরাটনগরে জন্ম।

    নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। ২০১৬ সালে নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির পদে বসেন।

    ১১ জুলাই, ২০১৬ থেকে ৬ জুন, ২০১৭ পর্যন্ত, প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর রায় দান করেছেন।

    পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা এবং বেশ কয়েকটি উচ্চ-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলার বিষয়ে তার সিদ্ধান্তের জন্য তিনি সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। 

    দীর্ঘদিন ধরে জড়িত নানা সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে।

    তাঁর রয়েছে ভারত যোগ। তথ্য, সুশীলা বিরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বেনারস থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কারকি পরে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওই পর্বের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৭৮ সালে।

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে কারকি জানিয়েছেন, তিনি জেন জি-দের আবেদন মেনে, এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিএইচইউ শিক্ষার কথা স্মরণ করেছেন। জানান, তিনি এখনও তাঁর প্রয়াত শিক্ষক এবং বন্ধুদের স্মরণ করেন ভিন দেশে বসেও। তাঁর মনে পড়ে গঙ্গার কথা, নদী তীরে হস্টেলের কথাও।

     জানা যায়, আইনজীবী হওয়ার আগে, তিনি শিক্ষিকা ছিলেন। কারকি ১৩ এপ্রিল ২০১৬ থেকে ১০ জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত নেপালের সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারপর ৭ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    বুধবার বিকেলে, কয়েক হাজার জেন-জি আন্দোলনকারী ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা কারকির নাম জানিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জেন জি আন্দোলনের হোতারা তাদের এজেন্ডা তৈরির জন্য একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। তাদের আলোচনা কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে ঘিরেই ছিল মূলত। জানা গিয়েছে, বর্তমানে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে, কারকির নামেই গ্রিণ সিগন্যাল। অর্থাৎ, আন্দোলনের পরে, একই বিষয়েও বাংলাদেশের ছাঁচ হিমালয়ের দেশে। সে দেশেও এবার অন্তবর্তী সরকার! 

    প্রবল বিক্ষোভের মাঝেই মঙ্গলবার ভেঙে পড়ে ওলি সরকার। একে একে মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর, খোদ ওলিও পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে একেবারে বাংলাদেশের ছাঁচেই নেপালের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। নেপালের সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগদেলের একটি বক্তব্য সামনে আসার পর থেকে জোর চর্চা হয়েছে নেপালে রাজতন্ত্র ফিরে আসা নিয়েও। মঙ্গলবার থেকেই ভাসছিল নানা নাম। তবে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের আস্থা কারকিতেই। 
  • Link to this news (আজকাল)