পাটনা: কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিহার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা। সেই লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে এনডিএ ও ইন্ডিয়া ব্লক। চলতি মাসে বুদ্ধ ভূমিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর বিহারে পৌঁছবেন ‘ডেপুটি’ অমিত শাহ। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। এসআইআর-কে হাতিয়ার করে আগেই মাঠে নেমেছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর পর ফের আসছেন তিনি। এসবের মাঝেই বিহার রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে ‘পিণ্ডদান পলিটিক্স’। মঙ্গলবার গয়ায় সপরিবারে গিয়ে পূর্বপুরুষের পিণ্ডদান করেছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। শোনা যাচ্ছে, ১৭ সেপ্টেম্বর নিজের জন্মদিনে গয়ায় গিয়ে মায়ের পিণ্ডদান করবেন মোদিও। আর তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির।
১৫ সেপ্টেম্বর বিহারে আসছেন মোদি। পুর্নিয়া বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি রয়েছে জনসভাও। সূত্রে খবর, পুর্নিয়া সহ চার জেলার কথা মাথায় রেখেই এই সফরের কর্মসূচি সাজানো হয়েছে। এখানে সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশ রয়েছে। তাই এনডিএ-র মাটি তেমন শক্ত নয়। চর্চা শুরু হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি নিয়েও। ওই দিন গয়ায় মায়ের পিণ্ডদান করবেন মোদি। বিরোধী শিবিরের একাংশের কথায়, আগেই প্রয়াত মাকে হেনস্থার অভিযোগ তুলে বিহারবাসীর আবেগ নিয়ে রাজনীতির খেলা শুরু করেছেন মোদি। এবার একধাপ এগিয়ে পিণ্ডদান। বছর দুয়েক আগে মোদির ভাই মৃত মায়ের পিণ্ডদান করেছেন। ফের পিণ্ডদানের যুক্তি কী?
প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরই ১৮ সেপ্টেম্বর এবং পরের দিকে ২৭ সেপ্টেম্বর বিহারে আসবেন অমিত শাহ। বিহারকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে ভোটযুদ্ধের কৌশল তৈরি করবেন তিনি। ভোটার অধিকার যাত্রায় ইতিমধ্যেই ২৫ জেলায় ঘুরেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাকি ১৩ জেলায় প্রচারের জন্য পুজোর পর আসছেন কংগ্রেস সাংসদ। গয়ায় পিণ্ডদান করছেন লালুপ্রসাদ যাদব।-ফাইল চিত্র