সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে নেপাল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, সংবিধানের জন্য গর্বিত: প্রধান বিচারপতি
বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ ও নেপালের অরাজকতার প্রসঙ্গ বুধবার উঠে এল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের পাঠানো বিলে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন সেই প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছিল। সে সময় প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, ‘আমরা আমাদের সংবিধানের জন্য গর্বিত।’ এরপরেই তিনি নেপালের প্রসঙ্গ তোলেন। গাভাই বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালে কী হচ্ছে দেখুন।’ তাঁর কথার প্রসঙ্গ টেনে বেঞ্চের অপর সদস্য বিচারপতি বিক্রম নাথ আবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে গণ অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর মঙ্গলবার সেই বিক্ষুব্ধ জনতার ভয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। সেই দুই প্রসঙ্গ টেনে সরকারকেই সুপ্রিম কোর্ট বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মত আইনজ্ঞদের। এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিল নিয়ে রাজ্যপালের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। তখন বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, ‘কত বিল পাশ হল, কত আটকে রাখা হল। এরপরেও দেশ ৭৫ বছর পার করে গিয়েছে।’ তখন তুষার মেহতা বলেন, ‘আমার কাছে এই নিয়ে তথ্য রয়েছে।’ তবে পরিংসখ্যান দেখতে চাননি প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি গভাই তখন বলেন, ‘আমরা পরিংসখ্যান নিতে পারি ন।’ এটা ঠিক হবে না। আমরা ওদের (রাজ্যের) তথ্য নিইনি। তাহলে কী করে আপনাদের তথ্য নেব? আমরা এই বিষয়ে ঢুকব না।’ সলিসিটর জেনারেল এর জবাবে বলেন যে রাজ্যের পাশ করা ৯০ শতাংশ বিলই রাজ্যপাল এক মাসের মধ্যে পাশ করে দেন। বিল আটকে রাখার ঘটনা বিরল।