পাটনা: ‘আর এগবেন না। পিছনে চলে যান।’ ১৯ বছরের পড়ুয়াকে ঠিক এই ভাষাতেই সতর্ক করছেন সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ান। বুধবার সকালে নেপালের বীরগঞ্জ থেকে সেতু পেরিয়ে ভারতের রক্সৌলে টিউশন পড়তে এসেছিলেন চঞ্চলা কুমারী। ফেরার পথে ভারতীয় ভূখণ্ডেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। কাঠমাণ্ডুতে অস্থিরতার কারণে শুধু চঞ্চলা নয়, এরকম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন ওপারের বহু মানুষ। সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভেবে দুই দেশের মৈত্রী ব্রিজ পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন তাঁরা। ফেরার সময় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে তাঁদের ব্রিজের উপরেই অপেক্ষা করতে দেখা যায়। চঞ্চলা কুমারী বলেন, ‘আদতে আমাদের বাড়ি সীতামারিতে। এখন বাবা নেপালের ভানসারে ব্যবসা করেন। তাই আমরা সেখানেই থাকি। এখানে (ভারতে) টিউশন পড়তে এসেছিলাম। আমার পরিবারও নেপালেই রয়েছে।’ বর্তমানে বিহার পুলিশ সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন চঞ্চলা।