• ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা চিত্রকরের, দেশে ফিরতে ব্যাকুল
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • প্রলয় দত্ত (কোচবিহারের বাসিন্দা); মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার ফ্লাইট ছিল। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছাই। পরবর্তীতে ফ্লাইট বাতিল হয়। রাতটা বিমানবন্দরেই থাকতে হয়েছে। রাতেই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা। সকালে নিরাপদে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে ফেরার ব্যবস্থা করে ভারতীয় দূতাবাস। বাসে চেপে যখন হোটেলে ফিরছিলাম তখন কাঠমান্ডু শহরে মিলিটারিদের ভারী বুটের শব্দ। 

    কাঠমান্ডুর পাটান মিউজিয়ামে আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী ও ওয়ার্কশপ ছিল ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন দেশের চিত্রকরদের সঙ্গে আমিও নেপালে আসি। আদি বাড়ি কোচবিহারে হলেও কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকি। ৪ তারিখ নেপালের ক্রীড়ামন্ত্রী চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। কর্মসূচি শেষে পোখরানে দুদিন ঘুরে ফেরার টিকিট ছিল ৯ তারিখ। পোখরানে আন্দোলনের তেজ এতটা ছিল না। কোনও সমস্যা ছাড়াই ৯ তারিখ পোখরান বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুতে আসি। ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে আকাশ থেকে দেখতে পাই চারদিকে শুধু ধোঁয়া। বিমানবন্দরে নেমে বাকিটা আন্দাজ হয়ে যায়। তখন বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচা যায়। পরবর্তী বিমানের চেক-ইন হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বাতিল হয় উড়ান। আমার মতো শ’তিনেক ভারতীয় নাগরিক আটকে তখন বিমানবন্দরে। যোগাযোগ করি কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসে। তারাই নিরাপদে হোটেলে নিয়ে যায়। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে ফেরার দৃশ্য অবর্ণনীয়। রাস্তার পাশে সারি সারি সরকারি ভবন অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত তখন! এলাকার দখল নিয়েছে মিলিটারি। হোটেলে নিরাপদে থাকতে পেলেও বাড়ি ফেরার জন্য মন ছটফট করছে এখন। ভারত সরকার যদি দিল্লিতে ফেরায় তবেই রক্ষে।
  • Link to this news (বর্তমান)