• পুজোয় পর্যটকদের চাপ বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে, উত্তরকন্যায় বসে পরিস্থিতির দিকে নজর মমতার
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নেপাল জ্বলছে। পুজোর মরশুমে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পর্যটকরা এমন অশান্তির মধ্যে হিমালয় ঘেরা এই ছোট্ট রাষ্ট্র থেকে মুখ ফেরাবেন বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন সময় উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, তাদের বাড়তি লক্ষ্মী লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলছিলেন, ‘নেপালে সাধারণত দু’টি কারণে বেড়াতে যান পর্যটকরা। ছুটি কাটানোর জন্য ও রোমাঞ্চের জন্য। সুন্দর দৃশ্যের কথা যদি বলতেই হয় তাহলে তা দার্জিলিং ও সিকিমেই পাওয়া যাবে। অন্যদিকে রোমাঞ্চের প্রশ্নে কালিম্পং, ডুয়ার্স এখন খুবই ভালো। আর কিছুদিন গেলে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।’   

    এদিকে নেপালের অশান্তি থেকে উত্তরবঙ্গকে বাঁচাতে উত্তরকন্যায় ঘাঁটি গাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপালে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এজন্য রাজ্য পুলিশ হেল্প নম্বর চালু করবে। এদিন জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেপালের সমস্যা শুনেই ছুটে এসেছি। মঙ্গলবার সারারাত উত্তরকন্যায় ছিলাম। নেপালে অশান্তির আঁচ যাতে আমাদের এদিকে না পড়ে, তার জন্য মনিটরিং করেছি। আপনারা যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন, সেদিকেই নজর রেখেছি। প্রতিবেশী দেশে শান্তি ফিরুক, আমরা চাই। প্রয়োজনে আরও রাত জাগব। নেপালে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে তৎপর বাংলার সরকার। জলপাইগুড়ি ও উত্তরকন্যায় মমতা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক নেপালে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আমাদেরও কিছু পর্যটক রয়েছেন। কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। এক-দুদিন অপেক্ষা করুন। আপনাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনব। নেপালের হিংসার ঘটনা নিয়ে নিজের যন্ত্রণার কথাও তুলে ধরে সকলকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়ে উল্লাস-নৃত্য করা, মনুষ্যত্ব নয়। রাজনৈতিক মত আলাদা হতেই পারে। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব পন্থা আছে। নিজের স্বার্থের জন্য দেশ, রাজ্য, জেলা ভাগ করব। আমাদের দলে যাঁরা অন্যায় করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছি। এখন কেউ কেউ ঘোলাজলে মাছ ধরতে নামবেন। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। 

    পুজোয় পর্যটক বাড়বে বলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যাশা। তিনি বলেন, পাঞ্জাব ভাসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ড বিপর্যস্ত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির আগুন জ্বলছে। এটা দেখতে ভালো লাগছে না। আমরা শান্তি, মানবিকতার পক্ষে। গতবছর বাইরে থেকে বাংলায় এসেছিলেন ১৯ কোটি পর্যটক। এরমধ্যে বিদেশিও ছিলেন। সংখ্যাটি এবার আরও বাড়বে। লামাহাটা থেকে ভোরের আলো, বেঙ্গলসাফারি করেছি। জল্পেশ মন্দিরে স্কাই ওয়াক করে দিয়েছি। ভ্রামরীদেবীর মন্দির কিংবা দেবী চৌধুরাণী মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দীঘায় জগন্নাথ মন্দির করেছি। একইভাবে বাংলায় দুর্গামন্দির হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)