সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: দুর্গাপ্রতিমার অলঙ্কার, বর এবং কনের টোপর, মণ্ডপ সাজানোর কদম ফুল সহ বিভিন্ন কিছু তৈরি করার জন্য দক্ষিণবঙ্গের শিল্পীদের একাংশের ভরসা হয়ে উঠেছিল পুরাতন মালদহের নবাবগঞ্জের শোলার হাট। বুধবার ওই ঐতিহ্যবাহী হাটে শোলা কেনার জন্য পাশের জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন। তবে, থিম নির্ভর পুজো বাড়তে থাকায় ডাকের সাজের প্রতিমা আগের মতো দেখা যায় না। সেজন্য শোলার ক্রেতা আগের থেকে অনেক কম বলে বিক্রেতাদের দাবি।
পুরাতন মালদহ শহরের মধ্যে অন্যতম নবাবগঞ্জ হাট। শোলা বিক্রেতারা সেখানে ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর ধরে হাট সংলগ্ন এলাকায় রাজ্য সড়কের ধারে শোলার ব্যবসায়ীরা বসছেন। বিক্রেতাদের দাবি, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এটি শোলার সবচেয়ে বড় হাট। সারা বছর শোলা পাওয়া যায় না। সেজন্য পুজোর কয়েক মাস শিল্পীরা শহরে শোলা কিনতে আসেন। গুণগত মান অনুযায়ী এক আঁটি সাতশো থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গত সাত বছর হাটে শোলা নিয়ে আসেন প্রসেনজিৎ এবং বিপিন সাহারা। এদিন তাঁরা বলেন, ডালখোলা, শিলিগুড়ি, বিহার থেকে শোলা নিয়ে এসে পরিষ্কার করে নবাবগঞ্জ হাটে বিক্রি করি। দক্ষিণবঙ্গের শিল্পীরা দলে দলে এখানে আসতেন শোলা কিনতে। তবে, এবার সেই সংখ্যা তলানিতে। মনে হচ্ছে পেশা বদল করতে হবে।
মুর্শিদাবাদ থেকে শোলা কিনতে এসেছিলেন সুনীতা দাস। তাঁর কথায়, শোলা দিয়ে দুর্গার সাজ, টোপর তৈরি করে পাইকারি দরে বিক্রি করি। ভালো শোলা পেতে এই হাটে এসেছিলাম।
পুজোর আগে নবাবগঞ্জ হাটে বিক্রি হচ্ছে শোলা।-নিজস্ব চিত্র