শরৎ সেন কম্পাউন্ড সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি: বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই লক্ষ্য
বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেই মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছে পুরুলিয়া শহরের শরৎ সেন কম্পাউন্ড সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এই পুজো কমিটি ফি বছর মণ্ডপ সজ্জা ও থিমের বৈচিত্র্যে দর্শনার্থীদের তাক লাগিয়ে দেন। সেই সঙ্গে সামাজিক বার্তাও বিশেষ নজর কাড়ে।
পুরুলিয়া শহরের শরৎ সেন কম্পাউন্ড এলাকার কালীমন্দির চত্বরেই প্রায় দু’দশক আগে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই সময় একচালার মূর্তিতে কালীমন্দিরেই পুজো হয়। তিনবছর পর এলাকার শিশু উদ্যানের মঞ্চে পুজো শুরু হয়। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার কয়েকজন বিশিষ্টজন শরৎ সেন কম্পাউন্ড এলাকায় দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে এলাকারই মহিলারাই এই পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন। এবার পুজো কমিটির সভাপতি সুস্মিতা দে, সম্পাদক শুক্লা চট্টোপাধ্যায় এবং কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন সুনন্দা দত্ত। বাজেট প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমার বাংলা’ থিমকে মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। একদিকে যেমন মা আটপৌরে শাড়ি পরিহিতা থাকবেন, তেমনই মণ্ডপেও ফুটিয়ে তোলা হবে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের নানা জিনিস। কোষাধ্যক্ষ বলেন, বর্তমানে চারিদিকের যা পরিস্থিতি তাতে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এই থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। ভাষা সংস্কৃতির পাশাপাশি বাংলার পুরনো দিনের নানা সামগ্রীও তুলে ধরা হবে মণ্ডপ সজ্জায়।
সুস্মিতাদেবী আরও বলেন, বাড়ির কাজ সামলানোর পাশাপাশি পুজোর চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ পাড়ার মহিলারাই করেন। কোথাও কোনও সমস্যা হয় না। পাড়ার সবাই সাহায্য করেন। পাড়ার পুজো হলেও সবাই বাড়ির পুজোর মতোই প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকেন। পুজোতে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও করা হয়।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা শরৎ সেন কম্পাউন্ড উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক রঞ্জিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘আমার বাংলা’ থিমের মধ্য দিয়ে বাংলার পুরনো আমলের নারীদের পোশাক, বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে বাংলার ভাষা সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা হবে।