রাজ্যের স্কুলে ১৯৪১ নিয়োগ, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশের জন্য স্পেশাল এডুকেটর
বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর পর এবার ‘স্পেশাল এডুকেটর’ হিসেবে সহশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। একেবারে নতুন প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ১৯৪১টি পদে নিয়োগ হবে। প্রায় ৮০০ পদে নিয়োগ হতে চলেছে কর্মরতদের থেকে। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসএসসি অনলাইন আবেদন গ্রহণ করবে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি বুধবার প্রকাশিত হলেও আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর থেকেই। ইতিমধ্যে পাঁচশোর বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে খবর এসএসসি সূত্রে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে এই ধাপে। পাশাপাশি চলছে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাই প্রক্রিয়া। প্রাথমিক স্তরেও নতুন প্রার্থীদের জন্য প্রায় ২৫০০টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিও দ্রুত প্রকাশিত হবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের অবশ্যই রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (আরসিআই) অনুমোদিত স্পেশাল বিএড বা সাধারণ বিএডের সঙ্গে আরসিআই অনুমোদিত ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে অন্তত ছ’মাস বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পাঠদানের ‘প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং’। না থাকলেও উপায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আরসিআইয়ের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং কোর্স চালু হলে সেটা করে নিতে হবে। যাঁদের ইতিমধ্যেই সেই ট্রেনিং রয়েছে, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ স্কুলে পড়ানোর জন্য এই শিক্ষক নিয়োগ। সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে প্রাথমিক এবং উচ্চ-প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ১০৭৫ জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। বাকিদের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট দিতে হবে (প্রাথমিক বা উচ্চ প্রাথমিক স্তরের জন্য)। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি ২০২৫ আয়োজন করবে এসএসসি। যাঁদের টেট রয়েছে, তাঁদের আর পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে কেউ চাইলে নম্বর বাড়ানোর জন্য ফের টেট-এ বসতে পারেন। তবে এখনই টেট বা সিলেকশন টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়নি।
এদিকে, বুধবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে ফের চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ে যেসব নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেগুলির জন্য পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে। বাদবাকি যা আছে, তা নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আইনি জটিলতা কেটে গেলেই আমরা তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। তবে এই পাশে থাকার মানে এখনই এর বেশি ব্যাখ্যা করতে পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ হাজার পদে আমরা শিক্ষক নিয়োগ করছি। আরও ২১ হাজার পদ খালি রয়েছে। এটা হয়ে গেলে বাকিটা দেখে নেব। তবে করবই বা কী! যখনই নিয়োগ করতে যাচ্ছি, জনস্বার্থ মামলা করে আটকে দিচ্ছে।’ বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর সরাসরি তোপ, ‘কোর্টে গিয়ে আটকাচ্ছ কেন? ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রয়োজন নেই? চাকরি দেবে না, চাকরি খাবে? কোর্টে না গিয়ে ভোটে যাও।’