সরকারি চাকরির নাম করে লক্ষাধিক টাকা গায়েবের অভিযোগ, মুকুন্দপুরের ফ্ল্যাট থেকে প্রতারককে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ
বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের একাধিক যুবক-যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত। লুকিয়ে ছিল মুকুন্দপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। তবে এখানে বসেও ভিন রাজ্যের একাধিক যুবককে ঠকাচ্ছিল সে। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত বিশাল কুমারকে পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বিশাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ফলাও করে প্রচার করেছিল, সে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখানে ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। কেউ যোগাযোগ করলে বলা হতো, এখানে প্রশিক্ষণ নিলে সরকারি চাকরি বাঁধা। তা দেখে ওই রাজ্যের অনেকেই যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরি করে দেবে বলে এক একজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা নিয়েছে সে। কিছুদিন পর বিশাল তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে প্রার্থীরা জানতে পারেন, পুরোটাই জাল। এরপর তাঁরা অভিযোগ জানান কোতোয়ালি থানায়। তদন্তে উঠে আসে, শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্যান্য রাজ্যের যুবকরাও তার ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণার অঙ্ক কয়েক লক্ষ টাকা। বারবার ডেরা বদল করায় তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তার নতুন মোবাইল নম্বর আসে। তার সূত্র ধরে তারা জানতে পারে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন কলকাতায়। এরপর সেখানকার পুলিসের একটি দল পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার মুকুন্দপুরে একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে বিশাল কুমারকে। তাকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, মাস তিনেক ধরে সে এখানে রয়েছে। এখানে বসেও ভিন রাজ্যের যুবকদের প্রতারণা করে চলেছে সে।
বুধবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী সৈকত রক্ষিত বলেন, অভিযুক্ত যে প্রতারণায় জড়িত, এমন কোনও প্রমাণ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দেখাতে পারেনি। এমন কোনও নথি নেই তাদের কাছে। যদিও সরকারি আইনজীবী সাজ্জাদ আলি খান বলেন, নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সওয়াল শেষে আদালত তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।