নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুরসভার নয়া বিজ্ঞাপন নীতির ভিত্তিতে ইতিমধ্যে শহরের তিনটি রাস্তাকে বেসরকারি বিজ্ঞাপনী কাঠামো মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও যত্রতত্র বিজ্ঞাপনের দৃশ্যদূষণ কমাতে তৎপর হয়েছেন। তাই তিনটি রাস্তা নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার এই তিনটি রাস্তায় সরকারের আওতাধীন মোট প্রায় ১৮ হাজার বর্গফুট বিজ্ঞাপনী কাঠামো তৈরি করতে ই-অকশন করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার, পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ই- অকশনে বার্ষিক বিজ্ঞাপন ফি বাবদ ‘বেস-প্রাইস’ রাখা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, অনলাইন নিলামে এর উপর যে যত বেশি দর হাঁকবে, তাকেই সুযোগ দেবে পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে শুধুমাত্র এই তিনটি রাস্তা থেকেই বছরে মোটা টাকা ঢুকবে পুর-কোষাগারে। তিনটি রাস্তা হল পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট এবং থিয়েটার রোড। সেখানে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের গায়ে বা ছাদে যত বেসরকারি বিজ্ঞাপনী কাঠামো ছিল, সেগুলি খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকাংশে নির্দেশ কার্যকর হয়ে গিয়েছে।
পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ জানাচ্ছে, সমস্ত বেসরকারি বিজ্ঞাপনের কাঠামো সরিয়ে এই তিন রাস্তায় শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত বা সরকারের আওতাভুক্ত বিজ্ঞাপনের কাঠামোই থাকবে। সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যেমন বিজ্ঞাপন দেয়, সেভাবেই দেবে। সেই কাঠামো তৈরির জন্যই টেন্ডারের বদলে ই-নিলাম ডাকা হচ্ছে। এই তিন রাস্তাতেই তৈরি হবে নতুন মনোপোল। যেগুলি প্রয়োজনে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কাঠামোতেও রূপান্তরিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন ফি বাবদ আরও বেশি টাকা পুরসভাকে দেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আপাতত নিলামের ‘বেস-প্রাইস’ হিসেবে বার্ষিক বিজ্ঞাপন ফি ১৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। যে তার উপরে সব থেকে বেশি টাকা দেবে, তাকেই এই তিন রাস্তায় বিজ্ঞাপন লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই প্রথম একটানা ১০ বছরের জন্য বিজ্ঞাপনের স্পেস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর বিজ্ঞাপন ফি ২ শতাংশ করে বাড়বে। এতদিন বিভিন্ন সরকারি বিজ্ঞাপনের কাঠামোতে বেসরকারি এবং সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য ৫০ শতাংশ করে বরাদ্দ থাকতো। এই তিনটি রাস্তার ক্ষেত্রে সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক বেসরকারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুর-কোষাগারে আয় বৃদ্ধি পায়।