ভোটের মুখে বাংলা ও বিহারকে উপহার! ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট শাখায় ডাবল লাইনের অনুমোদন রেলের
প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলার জন্য সুখবর। এবার রাজ্যের জন্য নয়া প্রকল্পে অনুমোদন রেলের। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভাগলপুর ? দুমকা ? রামপুরহাট রেল শাখায় ডাবল লাইনিংয়ের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পে আনুমানিক ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই তিন রাজ্যের মোট পাঁচটি জেলা রয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে দেওঘর (বাবা বৈদ্যনাথ ধাম) এবং তারাপীঠের (শক্তিপীঠ) মতো বিখ্যাত জায়গাগুলিতে যাতায়াতের সুযোগ বাড়বে। সারা দেশের তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকরা এই জায়গাগুলিতে যেতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণেবকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আসন্ন নির্বাচনের জন্যই বাংলা এবং বিহারের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে কীনা এমনই অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। যদিও এর উত্তরে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রী। বৈষ্ণব সরকারের পুরোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, বাগডোগরা, পাটনা ছাড়াও দেশের পশ্চিমে পাঞ্জাব এবং অন্য রাজ্যের বিমানবন্দরের জন্যেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আগেই বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। এই তথ্য তুলে ধরে তাঁর যুক্তি বাকি রাজ্যগুলিতে সামনে ভোট নেই, তবুও বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই নতুন বরাদ্দ বাংলা এবং বিহারের ভোটের কথা মাথায় রেখে করা হয়নি বলেই বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এদিন অনুমোদিত রেল প্রকল্প সম্পর্কে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প যাত্রী, পণ্য ও পরিষেবার নির্বিঘ্ন যাতায়াতের পথ সুগম করবে। এই রেলপথ দিয়ে কয়লা, সিমেন্ট, সার, ইট, পাথর-সহ অন্যান্য পণ্য পরিবহণ করা হয়। এই লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এখানে ১৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টনস পার অ্যানাম) অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হবে। রেল যেহেতু পরিবেশ বান্ধব ও কম জ্বালানির এক পরিবহণ মাধ্যম, তাই এর মাধ্যমে দেশের জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যে পৌঁছনো সহজ হবে। জানানো হয়েছে, এর সুবাদে জ্বালানি তেলের আমদানি কমবে (৫ কোটি লিটার), হ্রাস পাবে কার্বন নির্গমনও (২৪ কোটি কেজি)। যা এক কোটি গাছের সমান দূষণ কমাবে। এই প্রকল্প চালু হলে ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক আরও ১৭৭ কিলোমিটার বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।