অশান্ত নেপাল, বাড়ির চিন্তায় ঘুম উড়েছে বিশ্বভারতীয় দুই পড়ুয়ার, দুশ্চিন্তায় বোলপুরে ২৫টি নেপালি পরিবার
প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেব গোস্বামী, বোলপুর: যুব সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। অশান্ত নেপালের পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাছেন বোলপুরে বসবাসকারী প্রায় ২৫টি নেপালি পরিবার। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় থাকলেও তাঁদের আত্মীয়রা রয়েছেন পড়শি দেশে। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা দুই পড়ুয়ারও দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়।
বোলপুর মিশনকম্পাউন্ড এলাকায় বাস ২৫টি নেপালি পরিবারের। তাঁদের বেশিরভাগই বহু বছর আগে জীবিকার সন্ধানে বোলপুরে এসেছিলেন। আত্মীয়রা নেপালেই রয়েছেন। অশান্ত দেশের খবরে বিচলিত তাঁরা। তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা কেউ থাকেন কাঠমান্ডুতে, কেউ আবার পোখরা, লুম্বিনি, জনকপুরের বাসিন্দা। পরিজনদের নিয়েই উৎকণ্ঠায় বোলপুরে বসবাসকারী নেপালিরা।
এদিকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বভারতী রয়েছেন দুই নেপালি পড়ুয়া। কলাভবনের স্কাপচার বিভাগের স্নাতকোত্তরের আকাশ বালামি ও তিব্বতি ভাষা বিভাগের স্নাতকের ছাত্রী মিনা বাসনেট। তাঁরা কোনওমতে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরছেন। মিনা বাসনেট বলেন, “আমাদের পরিবারের কী অবস্থা, আদৌও তাঁরা নিরাপদ আছে কি না, সবকিছু নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি। তবে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুটা হলেও উদ্বেগ কেটেছে। তবুও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তো আসেনি। পড়াশোনায় মন দিতে পারছি না। সারাদিন ভয়ে রয়েছি।”
বোলপুর মিশন কম্পাউন্ডের বাসিন্দা সন্দেশ বৈশাল ও শের বাহাদুরের কথায়, “কর্মসূত্রে আমরা এখানে থাকি ঠিকই কিন্তু মন পড়ে থাকে দেশের বাড়িতেই। আত্মীয়-স্বজন অনেকেই কাঠমান্ডু-সহ বিভিন্ন শহরে চাকরি ও বসবাস করেন। তিনদিন ধরে ওঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ নেই। খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর দেখে রাতের ঘুম উড়েছে।” বোলপুরের বাসিন্দা কমল বিকে ও বাল বাহাদুর পরিইয়া বলেন, “আমরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও আমাদের শিকড় তো নেপালেই। দেশের অস্থিরতায় পরিবার-পরিজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছি।”