• মধ্যমগ্রামের কারখানায় বিধংসী আগুন, চার ঘণ্টা পর অবশেষে আয়ত্তে পরিস্থিতি
    প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • অণর্ব দাস, বারাসত: মধ্যমগ্রামের প্রিন্টিং কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগলো প্রায় চার ঘণ্টা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যামিলিয়া কলেজ রোডের শৈলেশনগর মাঠপাড়া এলাকায়। হতাহতের কোন খবর নেই। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ এবং দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। যান মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষও। কীভাবে ওই কারখানায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তা স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয় বলেই মত দমকল আধিকারিকদের।

    শৈলেশনগর মাঠপাড়া এলাকায় পর পর বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। সেখানেই রয়েছে ওই প্রিন্টিং কারখানাটি। অন্যান্য দিনের মতই এদিনও সেখানে শ্রমিকদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছিল। আনুমানিক বিকেল তিনটের সময় হঠাৎ করে কারখানার একটি অংশে আগুন লেগে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি কারখানা থেকে বেড়িয়ে আসেন শ্রমিকরা। ফলে, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও সেটা ব্যবহার করা যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে কারখানাটিকে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। কারখানায় উপস্থিত শ্রমিকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ, দমকল এবং পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। স্থানীয়দের দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও দমকলের চারটি ইঞ্জিনের প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ”আগুন অল্প থাকার সময়েই সকলে বেরিয়ে যায়। তাই কেউ হতাহত হননি। তদন্তেই আগুন লাগার কারণ উঠে আসবে।” কারখানাটির প্রয়োজনীয় অনুমতি বা নথি না থাকে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুর চেয়ারম্যান। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)