• কয়লায় বেড়েছে জিএসটি! সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ইটভাটার মালিকরা
    প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সম্প্রতি কয়লায় জিএসটি বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই ইট শিল্পে কালো মেঘের ছায়া দেখছেন ইটভাটার মালিকরা। বুধবার বাগনানের দেউলটির এক বেসরকারি পেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় ৮২তম বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাৎসরিক সম্মেলন। সেখানে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন করলেন সংস্থার কর্তারা এবং ইটভাটার মালিকরা।

    সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আগে যেখানে সেস এবং জিএসটি মিলিয়ে কয়লার উপর নয় শতাংশ কর দিতে হতো তাদেরকে, সেখানে এখন কেন্দ্রীয় সরকার কয়লার উপর জিএসটি বাড়িয়েছে ব্যাপক হারে। শুধু কয়লার উপর যেখানে আগে পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল এখন সেটা করা হয়েছে ১৮ শতাংশ। যদিও সেস উঠে গিয়েছে এর উপর থেকে। কিন্তু জিএসটি দিতে হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।

    সংস্থার রাজ্য সভাপতি দিলীপ কুমার ঘোষ এবং রাজ্য সম্পাদক সৈয়দ সাব্বির আহমেদ বলেন, “জিএসটি বাড়ার ফলে আমাদের উৎপাদন ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ইটভাটার মালিকদের।” যদিও এই ব্যাপারে তাঁরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য পদাধিকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যদিও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারের ভাবনাচিন্তার দরকার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

    অন্যদিকে যেভাবে ফ্লাই অ্যাশের সাহায্যে ইট তৈরিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে ইটশিল্পের আরও সমস্যা হবে এবং পরিবেশ দূষণও বাড়বে বলে দাবি তাঁদের। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলির ইটভাটার মালিকরা এদিন ইট তৈরি জন্য মাটি পাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, সেচ দপ্তর সম্প্রতি নো কস্ট টু গর্ভনমেন্ট প্রকল্পে নদীর চরের ড্রেজিং বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে নিজেদের খরচে চরে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি করে সেই খরচ তুলতে পারবে সংস্থাগুলি।

    যদিও সংস্থার নেতৃত্বের বক্তব্য চরের দখল চলে যাচ্ছে মাটি মাফিয়াদের হাতে। তাঁদের দাবি সরকার ভালো চাইলেও চরের লিজ নিয়ে নিচ্ছে মাটি মাফিয়ারা। তাদের কাছ থেকে বেশি দামে মাটি কিনতে হয়। ইটভাটার মালিকদের দাবি এতেও তাঁদেরও ক্ষতি হবে। তাই এই প্রকল্পের লিজ সরাসরি ইটভাটার মালিকদের দিতে হবে বলে দাবি করেন সংস্থার কর্তারা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)