• মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অবস্থানে অনুমতি দিল হাই কোর্ট
    প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়:  প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ২০০ জন সদস্য নিয়ে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা এই বিক্ষোভ করতে পারবেন বলে নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে এই কর্মসূচি করতে হবে দুপুর ১২ টা থেকে ৫টার মধ্যে। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন সেনা কর্তাদের এই কর্মসূচিতে বিজেপির কোনও নেতা থাকতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে।

    সম্প্রতি সেনাবাহিনী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানান প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সংগঠন। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এই অবস্থানে বসতে চেয়ে এই আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের তরফে বিকল্প জায়গার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও তা মানতে নারাজ ছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সংগঠন।

    এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি প্রভাবিত প্রাক্তন সেনাকর্মীদের এই সংগঠন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন নির্দেশে আদালত আরও জানিয়েছে, এই কর্মসূচি একটি লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইক নিয়ে করা যাবে।

    বলে রাখা প্রয়োজন, ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচারের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। আচমকা সেই সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনাবাহিনী। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সেনাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন মমতা।

    বলেন, “আমি যখন এখানে আসছিলাম, তখন প্রায় ২০০ জন আর্মি (সেনা) আমায় দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম যে, আপনারা কেন দৌড়ে পালাচ্ছেন? আপনারা আমার বন্ধু। ওদের পোশাককে সম্মান করি। সেনাবাহিনীর দোষ নেই।” এরপরই আক্ষেপের সুরে বলেন, “সেনা বাহিনিও বাদ গেল না….! বিজেপির কথায় এই কাজ করেছে।” এজেন্সি প্রসঙ্গেও সরব হন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে জানিয়ে অবস্থানে বসতে চান প্রাক্তন সেনাকর্মীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)